ট্রু-কলারে সুবিধার পাশাপাশি এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
সুবিধা
১. ট্রু-কলারে ব্যবহারকারীর নাম, ফোন নাম্বার,ই-মেইল, ঠিকানাসহ আরও নানা তথ্য জুড়ে দেওয়া যায়। এর ফলে অপরপ্রান্তের মানুষ আপনার নাম্বার সেভ না করেও চিনতে পারেন।
২. সহজেই কাউকে ব্লক অথবা স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এর ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ফোনকল থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
৩. ইন্টারনেট না থাকলেও ট্রু-কলার ব্যবহার করা যায়। তবে পুরোপুরি নয়।
৪. এর মাধ্যমে ভিডিও কল করার ব্যবস্থা রয়েছে।
৫. ট্রু-কলারকে সহজেই ‘ডিফল্ট ডায়ালার’ হিসেবে সেট করা যায়।
৬. ব্যবহারকারী কতক্ষণ ধরে অনলাইনে বা স্মার্টফোনে ছিলেন, সেটি এর মাধ্যমে বোঝা যায়।
অসুবিধা
১. অনেক সময় অপরিচিত মানুষ দুষ্টামি করে আপনার নাম্বারটি এমন কোনো কিছু লিখে সেভ করে, যাতে পরিচিত মহলে আপনার ইমেজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ভুল বোঝাবুঝি ও সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
২. অন্যরা আপনার ওপর বিনা কারণে নজরদারি চালাতে পারে। ফলে আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হয়।
৩. আপনার বেশিরভাগ তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে।
ট্রু-কলার ইনস্টল করার উপায়
আপনি যদি এখন পর্যন্ত ট্রু-কলার ডাউনলোড না করেন, তাহলে গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে সার্চ এবং তারপর ফোনে ইনস্টল করতে পারেন।
ট্রু-কলার থেকে আপনার নাম মুছে ফেলার জন্য যা করবেন
আপনি যদি নিজের গোপনীয়তা সম্পর্কে সজাগ হন, তাহলে আজই ট্রু-কলার থেকে নিজের নাম্বার মুছে ফেলুন। এই কাজ করার জন্য আপনাকে কেবল https://truecaller.com-এ গিয়ে নিজের ফোন নাম্বার খুঁজতে হবে। ফোন নাম্বার খুঁজে পেলে সেটি মুছে ফেলার জন্য রিকুয়েস্ট করুন।