‘দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য’

‘দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য’
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের ইনসেপশন, অগ্রগতি ও পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, “দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এ খাতের বর্তমান অবস্থাকে ছাড়িয়ে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পোল্ট্রি খাতের উন্নয়ন জোরদার করার জন্য গবেষণাকে সম্প্রসারিত করতে হবে, আরো গভীরে যেতে হবে। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মেধাকে আরো বিকশিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি খাতে গবেষণায়ে জোর দেওয়ার কথা বলেন। গতানুগতিকতার বাইরে যখনই গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তখনই সারাদেশে পোল্ট্রি খাত বিকশিত হয়েছে। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু কমেছে, শিশু মৃত্যু কমেছে। এমনকি করোনায় সৃষ্ট বেকাররা পোল্ট্রি খাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করে তাদের বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা হচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সাধনাকে বাস্তবায়নে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ দূরদৃষ্টি ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দৃষ্টি অত্যন্ত পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মত ছিল। তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মাংস, দুধ, ডিম সংক্রান্ত খাতকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পসহ এ খাতের সকল প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।”

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীগণ এবং পোল্ট্রি খাতের বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে ১২৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি, যশোর জেলার সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলার ভাংগা এবং নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভরা মৌসুমে সবজির চড়া দাম
বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ
এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ
১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য নাটোরে
বাসার ছাদে সবজি চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা