শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা ‘মানস’ এ সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিতে নয়, যারা সরকারি চাকরি করছেন তাদেরকেও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা আছেন তাদেরকে ইতোমধ্যে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হয়েছে। টেস্টে যারা পজিটিভ হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাদকের বিস্তৃতি যাতে না ঘটে এবং যুব সমাজ যাতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নতুন প্রজন্মের মেধাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি সেজন্য মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মোরাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে, পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের মেধাকে ধরে রাখতে না পারলে আমরা ২০৩০ ও ২০৪০ সালের যে স্বপ্ন দেখছি তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের আইনকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। পাশাপাশি মাদক যাতে দেশে না আসে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকেও শক্তিশালী করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নাফ নদী দিয়ে ইয়াবা নামের ভয়ঙ্কর মাদক প্রবেশ করে, সেখানেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। বিদেশি এজেন্সিগুলো আমাদের যেগুলো গোয়েন্দা রিপোর্ট দিচ্ছে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বিভাগীয় হাসপাতাল ও প্রতিটি জেলা হাসপাতালে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের স্পেশাল বেডের ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি এই মুহূর্তে ৩৬০টি বেসরকারি হাসপাতালে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। তারা যাতে আরও উন্নতমানের সেবা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য তাদেরকে সরকারি অনুদান দেয়া হয়েছে।’