পুষ্টি নিরাপত্তায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন করতে হবে

পুষ্টি নিরাপত্তায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন করতে হবে
দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায় আবশ্যিকভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এ খাতের উন্নয়নে সরকার বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মাছ, মাংস ও দুগ্ধজাতীয় পণ্যের বহুমুখীকরণে আমরা কাজ করছি। এভাবে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের দিগন্ত সম্প্রসারিত করছি। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন।

দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা আরও জোরদার করার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের অংশগ্রহণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সমন্বয় সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কর্মযজ্ঞ যাতে থেমে না যায় সেটা দেখা, অর্থনীতি যাতে স্থবির হয়ে না যায় সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা, বেকারত্ব যাতে দীর্ঘস্থায়ী না হয় সেজন্য তাদের উদ্যোক্তায় পরিণত করা, সাময়িক বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা-এসব কিছু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।

প্রজাতন্ত্রের কাজের গতি মাঠ পর্যায়ে স্তিমিত রাখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গতানুগতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা এখন অনেক দায়িত্ব পালন করছেন। সৃজনশীল কাজ করছেন। তাদের ফলপ্রসূ চিন্তা-চেতনা আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। এটি আজ সরকারকে সহায়তা করছে। কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায়, একইসঙ্গে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করা যায়, কীভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মকাণ্ড গতিশীল করা যায় সে লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে সমৃদ্ধ করতে চাই। মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন বাড়াতে চাই। এটি দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটাবে। আবার এর উৎপাদনকারী নিজের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হবে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ কোটি মানুষ সম্পৃক্ত রয়েছে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম বিভাগীয় কমিশনারদের অবহিত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-সংস্থা প্রধানরা মাঠ পর্যায়ে চলমান নিজ নিজ দফতরের কার্যক্রম ও বাস্তবায়নজনিত সমস্যাবলী সভায় তুলে ধরেন।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভরা মৌসুমে সবজির চড়া দাম
বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ
এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ
১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য নাটোরে
বাসার ছাদে সবজি চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা