তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানির থাকবে না ফ্লোর প্রাইস

তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানির থাকবে না ফ্লোর প্রাইস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানিগুলোকে ফ্লোর প্রাইস সুবিধা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসি সূত্র জানায়, ‘স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কোন ফ্লোর প্রাইসের ব্যবস্থা থাকবে না।এর আগে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতি বা বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে আসা কোম্পানিগুলোর জন্য কাট-অফ মূল্য ছিল। তবে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ওভার-দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে আসা কোম্পানিগুলোর জন্য শেষ ট্রেডিং মূল্য ছিল। এছাড়াও, নতুন ও রিলিস্টেড কোম্পানিগুলোর উপর নিয়মিত সার্কিট ব্রেকার দেওয়া হবে।

এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আতঙ্কের মধ্যে টানা দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ দেশের পুঁজিবাজারে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়েছিল । প্রায় ১৩ মাস পরে গত ৭ এপ্রিল মোট তালিকাভুক্ত ৩৭৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে প্রথম ধাপে ৬৬টির সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে কমিশন।

এর পরে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার (১৩ জুন) ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে থেকে মূল মার্কেটে ফিরেছে ৪ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পুনরায় তালিকাভুক্তির মাধ্যমে গত রোববার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করেছে। কোম্পানি চারটি হলো- বিডি মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মুন্নু ফেব্রিকস ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস।

কর্মকর্তারা জানায়, ডিএসই চারটি কোম্পানিকে ফ্লোর প্রাইস সুবিধা দেয়নি। প্রথম দিন থেকেই মূল বোর্ডে নিয়মিত সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়েছিল। ওটিসি কোম্পানি ছাড়াও কমিশনের নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড মূল্য পরিবর্তনের সীমা ভবিষ্যতে আইপিওর মাধ্যমে আসা সমস্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

নিয়মিত সার্কিট ব্রেকার অনুসারে, শেয়ারের দাম যদি ১০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে কোম্পানির দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে শেয়ারের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকলে তবে এক্ষেত্রে কোম্পানির দাম সর্বোচ্চ প্রতিদিন ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ পরিবর্তন হতে পারে।

শেয়ারের দাম যদি ৫০১ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে থাকে, তবে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এক হাজার ১ থেকে ২ দুই হাজার টাকা দাম হলে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, দুই হাজার ১ থেকে ৫ হাজার টাকা টাকার মধ্যে দাম থাকলে ৫ শতাংশ, এছাড়া যদি দাম ৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায় তবে সার্কিট ব্রেকার হবে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত