সংক্রমণে ঢাকাকে ছাড়িয়ে সীমান্তের জেলাগুলো

সংক্রমণে ঢাকাকে ছাড়িয়ে সীমান্তের জেলাগুলো
করোনার শুরুর দিকে ঢাকা বিভাগে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল বেশি। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরে গত এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। শনাক্তের দিক থেকে এখন ঢাকা বিভাগ তৃতীয় স্থানে। সবচেয়ে বেশি শনাক্ত রাজশাহীতে।

দেশের পশ্চিম সীমান্তের শহরগুলোয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোরের অবস্থা উদ্বেগজনক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে একক জেলা হিসেবে রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ জুন একদিনে ২৮৮ করোনা রোগী শনাক্ত হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮২ জন রোগী দাঁড়িয়েছে সেখানে। এ সময়ের মধ্যে (২৪ ঘণ্টায়) সেখানে মারা গেছে ১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে খুলনা। সেখানে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৯৯ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৪৮০ জন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫১৩ জন। এ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০০-এর কম ছিল।

সংক্রমণ বাড়ার কারণে সীমান্তে আট জেলায় গত মে মাসে লকডাউনের সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটি। সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আগেই লকডাউন দেওয়া হয়।

এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজশাহীতে দুই দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হয়। বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলাতেই এখন সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

তবে সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। মহানগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। টহলে আছেন র‌্যাব সদস্যরাও। লকডাউন বাস্তবায়নে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, শুধু লকডাউন দিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সীমান্তের জেলাগুলোতে টেস্ট বাড়াতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। সংক্রমণ কমাতে লকডাউন করা জেলাগুলোকে বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। লকডাউন হওয়া জেলাতে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন বাইরে আসতে দেওয়া যাবে না।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হার থাকা জেলাগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ৫-৯ শতাংশ হার থাকা জেলাগুলোকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫ শতাংশের নিচের জেলাকে স্বল্প ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬টি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়