বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, বেড খালি হলে রোগী ভর্তি করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার। ১০০ শয্যার এ করোনা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩০জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, হাসপাতালে আরও ১শ’ শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি প্রস্তুত হলে আরও রোগী ভর্তি করা হবে। তবে, কত দিনের মধ্যে ১শ’ বেড প্রস্তুত হবে-তার সঠিত তথ্য বলতে পারেননি তিনি।
এদিকে, খুলনা বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধ-বৃহস্পতিবার) ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে ৬৯৫ জনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১০১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৫৩৬ জন।
এ ছাড়া বাগেরহাটে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৯১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন।
সাতক্ষীরায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫২৫ জন।
যশোরে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৯ জন, মারা গেছেন ৮৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৬৬০ জন।
নড়াইলে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬১ জন, মারা গেছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৪ জন।
মাগুরায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৯২ জন, মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২১৫ জন।
ঝিনাইদহে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১ জন, মারা গেছেন ৫৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৯০ জন।
কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৪ জন, মারা গেছেন ১২৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭৬৬ জন।
চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৪ জন, মারা গেছেন ৬৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৩ জন।
শনাক্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১১০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৮০ জন।