শনিবার (০৫ জুন) সেনাসদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাতে গেলে গ্রামবাসী গুলতি ও তির–ধনুক নিয়ে রুখে দাঁড়ালে এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে এইয়ারওয়াদি অঞ্চলের কিওনপিও শহরতলির হ্লাইসওয়ে গ্রামে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে ৮৪৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে হালায়াসওয়ে এলাকায় শনিবার (০৫ জুন) ভোর হওয়ার আগে থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, গ্রামবাসীরা শুধু তীর হাতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সংঘর্ষে স্থানীয় অনেকে হতাহত হয়েছেন। কথিত অস্ত্র উদ্ধারের নামে সেনারা গ্রামবাসীদের লাঞ্ছিত করলে তারা গুলতি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন বলে জানান।
অভ্যুত্থানের পর থেকে বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন ও রাজধানী নেপিডোতে টানা বিক্ষোভ শুরু হয়। যা এখন ছোট ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। টানা বিক্ষোভে মিয়ানমার অনেকটাই অচল হয়ে পড়েছে।
তবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবর বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ এক ব্যক্তিকে ধরতে নিরাপত্তা বাহিনী লায়েসউই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনজন ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা ও দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা হবে গত প্রায় দুই মাসের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে একদিনে সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনা।
গত শুক্রবার জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে এক বৈঠক করেছে দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের প্রতিনিধিরা। এ নিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। শনিবার মান্দালয় শহরে আসিয়ানের পতাকা পোড়ানো হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।