শনিবার (৫ জুন) লন্ডনে জি-৭-এর অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে টেক জায়ান্ট আমাজন ও গুগলের মতো কোম্পানিগুলোও নতুন এই করের আওতায় আসবে।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সরকারগুলোর হাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আসবে, যা দিয়ে তারা মহামারি মোকাবিলায় ব্যয় সংকুলানের নতুন পথ পাবে-এমটিই বলছে বিবিসি।
অন্যান্য দেশও যাতে এই পথ অবলম্বন করে, সে জন্য তাদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করা হবে। আগামী মাসে জি-২০-এর বৈঠকেই বিষয়টি আলোচনায় উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিবর্তনের কারণ:
বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর কর আরোপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল দেশগুলো।
আমাজন ও ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি করপোরেশনগুলোর বিস্তৃতি এই চ্যালেঞ্জে আরও বাড়ছিল।
এখন কোম্পানিগুলো যেসব দেশে তুলনামূলক কম করপোরেট ট্যাক্স রয়েছে, সেসব দেশে স্থানীয় শাখা খুলতে পারে এবং সেখানে মুনাফা ঘোষণা করতে পারে। অর্থাৎ সেখানে তাদের শুধু স্থানীয় হারে কর দিয়ে গেলেই চলে। এমনকি সেখানে উৎপাদিত পণ্য অন্য কোনো দেশে বিক্রি করে এই অর্থ এলেও তারা তা করতে পারে। বৈধভাবেই কোম্পানিগুলো এই সুবিধা নিচ্ছে।
চুক্তিতে দুই উপায়ে এটি বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমত, জি-৭ চাইছে বিশ্বজুড়ে এসব কোম্পানির জন্য একটি ন্যূনতম করহার নির্ধারণ করা হোক। দ্বিতীয়ত, কোম্পানিগুলো যেসব দেশে তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রি করবে, সেসব দেশে তাদের কর দিতে হবে।