‘গ্রীন বন্ড ইস্যুর নীতিমালা জরুরি’

‘গ্রীন বন্ড ইস্যুর নীতিমালা জরুরি’
টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে গ্রীন বন্ড ইস্যু করার খরচ সম্পর্কে নীতিমালা হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন  ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সিনিয়র এনভায়রন্মেন্টাল স্পেশালিস্ট ড. আফিফা রায়হানা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত ‘বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-০৩’ এ তিনি এ কথা বলেন।

এতে “লাভারেজিং সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স থ্রো ডেভেলোপিং এ গ্রিন বন্ড ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিআইসিএম এর প্রভাষক সাগিরা সুলতানা।

ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে ও ডিরেক্টর (স্টাডিজ) ওয়াজিদ হাসান শাহের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মিজান আর. খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবর্ন বড়ুয়া।

গবেষণায় দেখানো হয়- গত এক দশক ধরে টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে গ্রীন বন্ড অন্যতম একটি উদ্ভাবন এবং গ্রীন বন্ড বাংলাদেশের ভবিষ্যতের উন্নয়নে সবচেয়ে উপযুক্ত ভবিষ্যত অর্থায়নের হাতিয়ার হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। বর্তমান পলিসি পেপারটিতে বাংলাদেশের গ্রীন অর্থায়নের বর্তমান অবস্থা অনুসন্ধানের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রীন বন্ড ইস্যু করার লক্ষে একটি সম্পূর্ণ পদ্ধতিগত কাঠামো প্রস্তাব করা হয়। গবেষণায় বাংলাদেশে গ্রীন বন্ডের বাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা হয় এবং গ্রীন বন্ডের মাধ্যমে টেকসই অর্থায়ন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নীতিমালা প্রণয়নের পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে গ্রীন বন্ড ও ব্লু বন্ড চালু করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, এমন সময়ে পলিসি পেপারটি বাংলাদেশে গ্রীন বন্ড ইস্যু সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে।

আলোচনায় ড. আফিফা রায়হানা বলেন, টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে গ্রীন বন্ড ইস্যু করার খরচ সম্পর্কে নীতিমালা হওয়া জরুরী এবং সেই খরচ কোন পক্ষ নির্ধারণ করবে সেটাও চিহ্নিতকরণ আবশ্যক। বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকি বেশি হওয়ায়, জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় গ্রীন বন্ডের মতো অর্থায়নের উৎসের প্রয়োজনীয়তার কথা জোরালো ভাবে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, অধ্যাপক ড. মিজান আর. খান গবেষণায় চিহ্নিত চ্যালেঞ্জসমূহ এবং নীতিমালার সাথে একমত পোষণ করে যোগ করেন শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় আমাদের বিনিয়োগ দরকার এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ পর্যালোচনা করে আমরা নিজেদের জন্য শিক্ষা নিতে পারি। এছাড়াও, ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বিদ্যমান গবেষণাপত্রটি আরও সমৃদ্ধ করার দিক নির্দেশনা দেন এবং গ্রীন বন্ডের আনুষ্ঠানিক বাজার গঠনের লক্ষে এই পলিসি পেপারটিকে বিএসইসি-এর কাছে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার পরামর্শ দেন।

অর্থমন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ড.মোহাম্মদ আবু ইউছুপসহ বিআইসিএম’র অনুষদ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত