সূত্র মতে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত সময় পর্যন্ত কোম্পানিটির গত চার বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে এ বিশেষ অডিটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মিটিংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, কোম্পানি সেক্রেটারির সাথে যোগাযোগ করেন।
তবে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্সের কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ নুরুল আলম এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে অর্থসংবাদকে জানিয়েছেন।
এদিকে নিরীক্ষক প্রকৃত ও ন্যায্য মানসহ এই সময়ের কোম্পানীর সম্পদ, দায়, ইক্যুইটি, আয় এবং অপারেটিং নগদ প্রবাহসহ আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে।
একই সময়ে গত দশ বছরের লেনদেনের অবস্থা প্রকাশ করতে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের স্পনসর এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের সনাক্ত করবে নিরীক্ষক।
এছাড়াও প্রাইম ইসলামী লাইফের সমস্ত মেয়াদী আমানত, একাউন্ট পরিবর্তন, নির্ভরযোগ্যতা এবং গত দশ বছরে জমা দেওয়ার সমস্ত অর্থ পরিশোধের পর্যালোচনা করবে।
একই সঙ্গে কোম্পানিটির জমি ও জমি উন্নয়নসহ সম্পত্তি এবং সরঞ্জামাদি সম্পর্কিত অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ পর্যালোচনা করবেন অডিটর। এছাড়া পরিচালনা পর্ষদ, অডিট কমিটি এবং কোম্পানির সার্বিক পরিচালনার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে।
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স তৃতীয় প্রজন্মের একটি ইসলামী বীমা কোম্পানি। এটি ২০০২ সালের জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়া ২২ এপ্রিল, ২০০২ সাল থেকে কোম্পানিটি ইসলামিক জীবন বীমা ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে।
২০০৭ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। এর পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
গত বছরের জুলাই পর্যন্ত স্পনসর এবং ডিরেক্টররা যৌথভাবে শেয়ারের ৩৮ দশমিক ০৮ শতাংশ ধারণ করেছেন । যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ছিল ৪৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ০.০৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।