Connect with us

অর্থনীতি

ফের করোনায় ২০ দিনে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ব্লক

বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, তা গত বছরের পুরো মে মাসের অঙ্ককে ছাড়িয়ে গেছে।

জানা যায়, গত বছরের পুরো মে মাসে (৩১ দিনে) রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এই হিসাবে ২০ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেলো মাস এপ্রিলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (২.০৬ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। গত বছর এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার।

এর আগে গত বছরের জুলাই‌ মাসে রেকর্ড রে‌মিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রে‌মিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনও একক মাসে এতো রেমিট্যান্স আসেনি।

তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রেমিট্যান্স ২ হাজার ৬৭ কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার ৭১২ কোটি টাকা)। এর আগে কোনও অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

লোহা রপ্তানিতে বড় সম্ভাবনা

Published

on

ব্লক

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশে উৎপাদিত স্টিল বা লোহা এবং লোহা থেকে তৈরি পণ্য বিদেশেও রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। তাদের হিসাবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্টিল বা ইস্পাত পণ্য রপ্তানি করে বার্ষিক ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) আয়োজিত এক সভায় এসব কথা উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এ সময় তিনি বলেন, ইস্পাত বা লোহা এবং লোহার পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা খুঁজে বেড় করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং করণীয় নির্ধারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে। বেসরকারি খাতের অভিভাবক হিসেবে এফবিসিসিআই তাদের সেসব প্রস্তাব নিয়ে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবে।

রপ্তানিপণ্য বহুমুখী করতে লোহা ও লোহার পণ্য বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

সভায় অংশ নিয়ে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের অ্যাডভাইজার জিল্লুর হোসেন জানান, যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথের সদস্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের ইস্পাতসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারকেও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের লোহা ও লোহার পণ্য তৈরি হচ্ছে, প্রযুক্তি উন্নত- এমন দাবি বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি বলেন, স্থানীয় কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় দেশের ইস্পাতের চাহিদা প্রায় ৫০ শতাংশ কম। উদ্বৃত্ত সক্ষমতার (ওভার ক্যাপাসিটি) ইস্পাত যদি আফ্রিকাসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি করা যায়, তাহলে এই খাত থেকে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।

এ সময় লোহা ও লোহার পণ্যকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরের জন্য সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকাত চান ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে লোহা ও লোহার পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা, আংশিক বন্ড সুবিধা, নগদ সহায়তাসহ রপ্তানি অন্যান্য সহযোগিতা। রপ্তানিমুখী ইস্পাত কারখানায় জ্বালানি মূল্যে সুযোগ-সুবিধা, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করাসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুমন চৌধুরী, এফবিসিসিআই পরিচালক এবং বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. আমির হোসেন নুরানী, মেট্রোসেম ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক শুনিল কুমার অধিকারী প্রমুখ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

চার মাসেও এক কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসেনি ৭ জেলায়

Published

on

ডলার সংকটে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম উৎস হলো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। তবে চরম ডলার সংকটের মাঝেও গত দেড় বছরে রেমিট্যান্সের জোগান খুব একটা যুঁতসই ছিলো না। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেও ২০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আহরণ সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি চলমান অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ১ কোটি ডলার সমপরিমাণ প্রবাসী আয় আসেনি দেশের সাত জেলায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে লালমনিরহাট। গত চার মাসে এই জেলায় মাত্র ৫৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া রাঙামাটিতে ৫৯ লাখ, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬১ লাখ, পঞ্চগড়ে ৭১ লাখ, খাগড়াছড়িতে ৭৬ লাখ, কুড়িগ্রামে ৯৫ লাখ এবং জয়পুরহাটে ৯৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে পিছিয়ে থাকা প্রায় প্রতিটি জেলা জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্যতম কৌশল হিসেবে অভিবাসনকে দেখা হয়। এই অঞ্চলে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করলে প্রবাসীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে জীবনমান এবং সামাজিক পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।

লালমনিরহাটে প্রবাসী আয় কমলেও রেমিট্যান্স আহরণে বরাবরই এগিয়ে ঢাকা জেলা। গত চার মাসে ঢাকা জেলায় ২৩০ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম জেলায় ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ ছাড়া সিলেটে ৪০ কোটি ৫১ লাখ, কুমিল্লায় ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ও নোয়াখালী জেলায় ২২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশে থাকা অন্য জেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার ও নরসিংদী।

অর্থসংবাদ/আজাদ

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

টানবাজারে কমেছে সুতার দাম

Published

on

ব্লক

দেশের বৃহত্তম পাউকারি সুতার মোকাম টানবাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন কাউন্টের সুতার দাম ২-৫ টাকা কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘‌আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির কাঁচামাল তুলার দাম কমতির দিকে। যে কারণে দেশের বাজারেও সুতার দাম কমছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস শিল্পে বিদেশী ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় সুতার চাহিদাও কমতির দিকে।’

জানা গেছে, বাজারে ১০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ৪২-৮৫ টাকা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডপ্রতি ১০ কাউন্টের সুতার দাম কমেছে ১-২ টাকা। ২০ কাউন্টের সুতা বাজারে প্রকারভেদে পাউন্ডপ্রতি লেনদেন হচ্ছে ৮৫-১১৫ টাকা, যা ১০-১৫ দিন আগেও ছিল ৮৭-১২০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২-৫ টাকা।

২৪, ২৬, ২৮ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪৮-১৬০ টাকা পাউন্ড দরে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ১৫২-১৭০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ১-১২ টাকা।

আর ২৬, ২৮ ও ৩০ সিভিসি কাউন্টের সুতার দাম গত সপ্তাহের ১২৫ টাকা থেকে কমে ১১৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডপ্রতি দাম কমেছে ৭ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে ৪০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে পাউন্ডপ্রতি ১৬৮ টাকা দরে। বর্তমানে তা ১৬৫-১৬২ টাকায় নেমেছে। দাম কমেছে ৩-৫ টাকা।

৫০ কাউন্টের সুতার দাম প্রতি পাউন্ডে ৪-৫ টকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮৪-১৯২ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে সুতাটির দর ছিল ১৮৮-১৯৭ টাকার মধ্যে।

গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে পাউন্ডপ্রতি ৫-৬ টাকা কমে ৬০ কাউন্টের সুতা বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২২০ টাকায়। ৮০ কাউন্টের সুতা ২৯০-৩০০ টাকা থেকে কমে বর্তমানে বাজারে লেনদেন হচ্ছে প্রকারভেদে ২৮০-২৯০ টাকা পাউন্ড দরে। কাউন্টপ্রতি দাম কমেছে ১০ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাশে ইয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি লিটন সাহা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সুতার দাম বেশ ওঠানামা করছে। এক সপ্তাহ বাড়তি থাকে তো এক সপ্তাহ কমতির দিকে থাকে। দাম এভাবে ওঠানামা করলে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির উপাদান তুলার দাম কিছুটা কমেছে। যে কারণে দেশের বাজারেও সুতার দাম কিছুটা কমতির দিকে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধন কর কমলো

Published

on

NBR

ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকার জমি বা ফ্ল্যাটসহ ব্যক্তিগত স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে জমি নিবন্ধন উৎস কর কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন-২০২৩– এর ৩৪৩ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনে মৌজা অনুযায়ী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার জমি নিবন্ধন কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা জেলার কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া এলাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা প্রযোজ্য হবে।

একইভাবে ঢাকার খিলক্ষেত বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর, দারুসসালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ সদর ও রূপগঞ্জ থাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে জমির মূল্যের ৮ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকা—যেটি কম হবে, তা কর হিসেবে দিতে হবে।

চট্টগ্রামের খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানা, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, সদর, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা ও টঙ্গীর ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে মূল্যের ৬ শতাংশ করহার আগের মতো বহাল আছে। তবে কাঠাপ্রতি করের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি মূল্য ৫০ হাজার টাকা-যেটি কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।

একইভাবে ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই এবং চট্টগ্রামের আকবর শাহ, ইপিজেড, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী, সদরঘাট এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ঙ শ্রেণির মৌজার কর কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর ফলে নিবন্ধনের সময় জমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ হাজার টাকা- যা কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।

গত অক্টোবর মাসে যখন মৌজা ভিত্তিতে করহার নির্ধারণ করা হয়, তখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর বাইরে অবস্থিত জমিকে মৌজা অনুযায়ী ক থেকে ঙ-এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৪৯ শতাংশ

Published

on

ব্লক

এক মাসের ব্যবধানে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে ঠেকেছে। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি যেখানে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল, নভেম্বরে সেটি নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।

চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এতদিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন।

গত তিন মাস ধরেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে ছিল। তবে নভেম্বরে তা কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের তুলনায় গ্রামের মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। নভেম্বরে গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা আগের মাস অক্টোবরেও ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে রয়েছে।

শহর এলাকায় গ্রামের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কম। নভেম্বরে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে, অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। যা ছিল এক যুগ বা ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরে অবশ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী হয়। সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি নামে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে।

এরপর অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১০ শতাংশে (৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ) উঠে যায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি বেশ দ্রুতগতিতে কমলেও বাংলাদেশে তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি কমে ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে।

শ্রীলঙ্কার শুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ৪৩ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়ায়। গত মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। এপ্রিলে এটি আরও কমে দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৮ শতাংশে। মে মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। গত জুনে মূল্যস্ফীতি এক অংকে নেমে আসে, যা ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ব্লক
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার14 mins ago

ইসিকে সহযোগিতা দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা

ব্লক
ধর্ম ও জীবন20 mins ago

ঘুমের আগে যে আমল করলে আল্লাহ নিরাপদ রাখবেন

ব্লক
জাতীয়37 mins ago

হারানো মোবাইল উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ

ব্লক
স্বাস্থ্য46 mins ago

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

ইসি
জাতীয়58 mins ago

প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিনে ৪২ জনের আপিল

ব্লক
পুঁজিবাজার58 mins ago

ব্লকে ১৮ কোটি টাকার লেনদেন

ব্লক
জাতীয়1 hour ago

নভেম্বরে ৬০৩ দুর্ঘটনা, নিহত পাঁচ শতাধিক

ব্লক
খেলাধুলা1 hour ago

কত টাকায় দেখা যাবে মিরপুরের টেস্ট, জানালো বিসিবি

ব্লক
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

ইবি শিক্ষক সমিতির তফসিল ঘোষণা

ব্লক
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু ১০ ডিসেম্বর

Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31