সোমবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়।
এর আগে দুপুর ১২টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার (২৪ মে) বিকেলের মধ্যেই দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি নামতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস'-এ পরিণত হয়েছে। আগামী বুধবার (২৬ মে) ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।
উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টি টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে বলে জানা গেছে। এ সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় গড়ে ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
তবে এরইমধ্যে বাংলাদেশের জন্য ‘স্বস্তির’ খবর হচ্ছে ঝড়টি কিছুটা গতিপথ বদলেছে। এটি এখন ভারতের উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছে। বর্তমান গতিবেগ অব্যাহত থাকলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে গতিপথ বদলালেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে দেশের চারটি জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও বরগুনায়। এসব জেলায় দমকা হাওয়াসহ প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে। কিছুটা ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগরে প্রবল ঢেউ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় ইতোমধ্যে মাছ ধরার অন্তত শতাধিক ট্রলার উপকূলে ফিরেছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।