ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে বিটকয়েনের পরই এখন জনপ্রিয় ডোজকয়েন। আর এই জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছেন ইলন মাস্ক। এর আগে গত মাসে এক টুইটে ইলন বলেন, স্পেসএক্স চাঁদে ডোজকয়েন রেখে আসতে যাচ্ছে।
আসলে প্রায়ই ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা নিয়ে টুইটারে লেখেন ইলন মাস্ক। বিটকয়েন ও ডোজকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির সাম্প্রতিক অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির সেটি একটি কারণ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। গত দুই মাসে ইলন মাস্কের টুইটের পরই সবার নজরে আসে ডোজকয়েন। এরপরই টেক দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি হয়ে ওঠে ডোজকয়েন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম এটি নিয়ে টুইট করেছিলেন ইলন। ওই এক টুইটেই ডোজকয়েনের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়। পরে ইলন মাস্ক ঘোষণা দেন, ডোজকয়েন ব্যবহার করে টেসলার যেকোনো গাড়ি কেনা যাবে।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ডোজকয়েন নিয়ে আসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিলি মার্কস ও জ্যাকসন পালমার। তাদের লক্ষ্য ছিল বিনা মূল্যের পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করা। যেখানে প্রথাগত ব্যাংকের লেনদেনের মতো ঝামেলা থাকবে না। ডোজকয়েনের নামকরণ ঘটনাটা বেশ মজার। ওই সময় ইন্টারনেটে শিবা ইনু নামের একটি কুকুরের মুখের মিম জনপ্রিয় হয়েছিল। আর সেই কুকুরের মুখকেই কয়েনের লোগো হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
একবার গণমাধ্যম টিএমজিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একবার ইলন মাস্ক বলেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে মজা করার জন্য অনেকটা কৌতুক করে ডোজকয়েন উদ্ভাবন করা হয়। তবে ভাগ্য বিদ্রূপ ভালোবাসে। আর সবচেয়ে বিদ্রূপাত্মক ফল কী হতে পারে? যে মুদ্রা মজা করার জন্য শুরু হয়েছে, তা এখন কাজের মুদ্রায় পরিণত হয়েছে, আকাশছোঁয়া মূল্য এখন এই ডোজকয়েনের।
এর আগে গত জানুয়ারিতে বিটকয়েনে দেড় শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেন ইলন মাস্ক। সে সময় কোম্পানির একটি আর্থিক নথিতে দেখা যায়, কোম্পানিটি বিনিয়োগের নীতিমালা হালনাগাদ করেছে। আর এর অংশ হিসেবেই বিটকয়েনে এই বিপুল বিনিয়োগ।