বুধবার (৫ মে) রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় দোকানপাট ও শপিংমলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় আজকের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯০ মামলায় ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬০ টাকা জরিমানাসহ তিনটি দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা, লাইসেন্স ব্যতীত ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসা, মাস্ক না পরা এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডিএনসিসির ১ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১১ মামলায় ৪০ হাজার ৬০০ টাকা জমিরানা করা হয়। ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজম, রিফাত ফেরদৌস, মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৯ মামলায় ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া, তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১০ মামলায় ৮ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় তিনটি দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এছাড়াও ৪ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৩ মামলায় ১০ হাজার টাকা ও ৫ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৩৫ মামলায় ১৪ হাজার ৪৬০ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৭ মামলায় ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৭ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ও মো. মিজানুর রহমান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৫ মামলায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ৮ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১০টি মামলায় ১২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এভাবে মোট ৯০টি মামলায় আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট পরিমাণ ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬০ টাকা।
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দোকানপাট ও শপিংমলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউন বাস্তবায়নে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।