প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়

প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়
মহামারি করোনাকালে দেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

এই সময়ে জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভোক্তা পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি। এটি বিবেচনায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দফতরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য, মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এ ধরনের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন এবং পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ-সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহণ ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।

করোনায় চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণনজনিত উদ্ভূত সমস্যা সমাধান ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদফতরে একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে আরেকটি কন্ট্রোল রুম কাজ করেছে।

কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গতকাল রোববার দেশের ৬৪টি জেলায় ৭২০টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৮ লিটার দুধ, ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮০১টি ডিম, ৫ হাজার ৯৩৪ কেজি গরুর মাংস, ১ হাজার ১৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭২৬ কেজি মুরগি এবং ১৬১ মেট্রিক টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জেলায় সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভরা মৌসুমে সবজির চড়া দাম
বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ
এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ
১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য নাটোরে
বাসার ছাদে সবজি চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা