‘কোনো দোহাই দিয়ে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না’

‘কোনো দোহাই দিয়ে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না’
শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলমান ‌প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কোনো দোহাই দিয়ে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনাকালীন লকডাউন পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি সভা করে প্রকল্পের কাজের তদারকি বাড়াতে হবে। আগামী জুনের মধ্যে নির্ধারিত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে, কোনোভাবেই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হবে না।

নূরুল মজিদ বলেন, সরকার করোনাকালীন স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতের মতো শিল্পখাতকেও অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে, তাই আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এ খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পে যেখানে ধীরগতি রয়েছে, সেখানে গতি আনতে হবে। এক্ষেত্রে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে, যাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ধারাকে অব্যাহত রাখা যায়।

অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি ছিলেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানরা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কমর্মসূচিতে মোট ৪৮ টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি বিনিয়োগ, ৩টি কারিগরি সহায়তা এবং একটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে এক হাজার ৬৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ২ হাজার ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নেখাতে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে এক হাজার ৪৮০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। সারের সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে পাঁচটি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আটটি বাফার গোডাউনের কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য বিভিন্ন জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সমাপ্তির জন্য ১৩টি প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে। এ সকল প্রকল্প জুন ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে।

উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার ও আলোচনামূলক কার্যক্রম অনলাইন বা ভার্চ্যুয়ালি পরিচালনা করতে সভায় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম ও বিএসইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গাজী ওয়্যার লি. কে শক্তিশালী ও আধুনিকায়নকরণ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম, সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অতিদ্রুত শেষ করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন করপোরেশনের সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। করোনা মহামারি মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু