বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্বাক্ষরে বেঞ্চ গঠন করে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যে সাতটি বেঞ্চ বসবেন-বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান; বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামান; বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর; বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন; বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াত; বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরী মামলা শুনানির জন্য ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানি করা হচ্ছে। প্রথমদিকে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হলেও আইনজীবীদের অব্যাহত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে আদালত সংখ্যা ও এখতিয়ার বাড়ানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে ৫টি দ্বৈত বেঞ্চ ও একটি বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালিত হয়েছে। তবে সব কটি বেঞ্চ প্রত্যেক দিন বসেনি। কোনো কোনো বেঞ্চ একদিন পর একদিন বসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতটি বেঞ্চ গঠন ও এসব বেঞ্চের এখতিয়ার নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এই বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে নির্দেশনা জারির আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্টের বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান। আপিল বিভাগে শুনানিকালে তিনি আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনও হাইকোর্টে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি বসে বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তের আলোকে প্রধান বিচারপতি ৭টি বেঞ্চ গঠন করেন এবং বেঞ্চগুলোর বিচারিক এখতিয়ার নির্ধারণ করে দেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট রুলস অনুযায়ী বেঞ্চ গঠন ও এর এখতিয়ার নির্ধারণ করা পুরোপুরি প্রধান বিচারপতির একক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।