Connect with us

ব্যাংক

২৮ এপ্রিলের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকে এমডি নিয়োগের নির্দেশ

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ব্লক

দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়াই চলছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড বা এনবিএল।। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে ব্যাংকটিতে একজন স্থায়ী এমডি নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদারকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এমডি নিয়োগ না দিলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫(ক) ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ‘অর্থসংবাদ’কে বলেন, ‘২৮ এপ্রিলের মধ্যে এমডি নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে।’

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি এ এস এম বুলবুল এমডির দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে সরিয়ে দিতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার তার মেয়াদ বাড়ান, যা কার্যকর হয় ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু বিষয়টি বিধি পরিপন্থী হওয়ায় তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে আরেকবার (৬ এপ্রিল) নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই নির্দেশের পর এ এস এম বুলবুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আবদুল বারীকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয় ব্যাংকটির পর্ষদ। ২৮ এপ্রিল ব্যাংকটির স্থায়ী এমডি পদ শূন্য থাকার তিন মাস পূর্ণ হবে।

 

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

দুর্বল ব্যাংক টেনে তোলার নতুন উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংক

Published

on

ঋণ

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকখাত সংকটে রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বেনামি ঋণ, তারল্য সংকট, উচ্চ খেলাপির হার, পরিচালক নিয়োগে পারিবারিক দৌরাত্ম্য প্রভৃতি। সমস্যা জর্জরিত ও দুর্বল এসব ব্যাংকের সংকট কাটিয়ে তোলার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক; সমস্যার ধরন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে ভাগ করা হবে চারটি ‘শ্রেণিতে’।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) ব্যাংকের তারল্য সংকট, পরিচালক নিয়োগ, উচ্চমাত্রার খেলাপি এবং বেনামি ঋণ বন্ধ করতে সংস্কার পরামর্শ দিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোকে কার্যকর সংশোধনমূলক পদক্ষেপ (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশোধনী পরিকল্পনায় ব্যাংকগুলোকে ক্যাপিটাল টু রিস্ক অ্যাসেট রেশিও (সিআরএআর), ক্যাপিটাল রেশিও (সিআর), কমন ইক্যুইটি (সিইটি), নেট নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) এবং করপোরেট সুশাসনকে ভিত্তি করে ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সংশোধনী কাজ ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশের অভ্যন্তরে সব তফসিলি ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকে কেন্দ্র থেকে শাখা পর্যন্ত এটি প্রয়োগ করার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সংশোধনী কাজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক।

ব্যাংকের সংকট উত্তরণে নতুন করে সংশোধনী কাজ আগামী ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে প্রস্তুত করার কথা জানানো হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পূর্ব নির্ধারিত পর্ষদ সভায় পরিচালকদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। নীতিমালাটি ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৭/ক ধারা, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার এবং তফসিলি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমওইউ’র আলোকে করতে হবে, এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতে এখন বড় সমস্যা সুশাসনের অভাব। সুশাসনের ঘাটতি মেটাতে পারলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তারল্য সংকট, ঋণের গুণগত মান, খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি, পরিচালকদের বেপরোয়া ঋণ গ্রহণ এসব সমস্যা সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে কমে যেতে বাধ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তফসিলি ব্যাংক সংশোধনী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপ নিজেরাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লিখিতভাবে জানাতে বাধ্য থাকবে। কোনো ব্যাংক যদি একই সঙ্গে চারটি ক্যাটাগরির একাধিক বিভাগের অধীনে পড়ে, তবে সেই ব্যাংক ‘খারাপ’ বা ‘দুর্বল’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। পিসিএ শুরু করার পরে সংশোধনমূলক নির্দেশক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা নামে জারি করা হবে। ব্যাংকের অবনতিশীল আর্থিক ও পরিচালন সূচক অবস্থার স্বাভাবিক উন্নতি ওই বছরের মধ্যে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে একটি গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে। যা বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত একটি বিন্যাস করার পর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ধারার আলোকে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

রপ্তানিতে ভর্তুকির আবেদন অডিট করবে সিএমএ ফার্ম

Published

on

ব্যবসা খাতের প্রধান যে পাঁচ চ্যালেঞ্জ

রপ্তানিতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তার আবেদন এখন থেকে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস (সিএমএ) ফার্ম দ্বারা অডিট বা নিরীক্ষা করা যাবে। চলতি অর্থবছর থেকেই এই কার্যক্রম চালু হবে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সব অনুমোদিত ডিলারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস ফার্ম দ্বারা রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনের নিরীক্ষা করা প্রসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদন পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়োজিত অডিট ফার্ম দ্বারা নিরীক্ষা করানো যাবে।

পাশাপাশি নিরীক্ষা কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ফার্ম নিয়োগের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ অডিট ফার্মের সংখ্যা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার লক্ষ্যে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্তি সাপেক্ষে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস (সিএমএ) ফার্মকেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক অডিটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

চলতি অর্থবছরের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার লক্ষ্যে সিএমএ ফার্ম নিয়োগ করা যাবে। এ বিষয়ে যৌক্তিকতা উল্লেখ করে সিএমএ ফার্মের নাম, ঠিকানা, প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াবলি এবং এফআরসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত তথ্যসহ বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হবে।

সিএমএ ফার্ম কর্তৃক রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০০২ সালের ২ জুন, ২০১৪ সালের ২৯ জুন, ২০২০ সালের ২ জুন ও ২০২০ সালের ১২ আগস্টের নির্দেশনাসহ রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা বিষয়ে প্রযোজ্য অপরাপর সকল সার্কুলারের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

রিজার্ভ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

Published

on

ব্লক

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে বলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (২৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, গ্রস বা মোট রিজার্ভ স্থানীয় বিনিয়োগসহ হিসাবায়ন হয়।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী স্থানীয় বিনিয়োগ ছাড়া হিসাবায়ন হয়। বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য ও গ্রস রিজার্ভ বিনিয়োগ আদায় সাপেক্ষে ব্যবহারযোগ্য।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার ও বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বিপিএম-৬ অনুযায়ী প্রদর্শিত সম্পূর্ণ রিজার্ভই ব্যবহারযোগ্য।

ভবিষ্যতে জনমনে বিভ্রান্তি এড়াতে গ্রস ও বিপিএম-৬ রিজার্ভ হিসাবের তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ-আমানতের সুদহার নির্ধারণ

Published

on

ব্লক

দেশে চলমান উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে ব্যাংকিং খাতের সব ধরণের সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারটি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে আমানতে সুদ দিতে পারবে। আর ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে ঋণে সুদ নিতে পারবে এসব প্রতিষ্ঠান।

‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ হলো সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল। অর্থাৎ ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদহারের উপর ভিত্তি করে ব্যাংকের সুদহার নির্ণয় করা হয়। চলতি বছরের অক্টোবরে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তাতে এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণে পাঁচ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর আমানতের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ।

এর আগে মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) প্রথম সভায় চার ধরনের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সভায় অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিকসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি, বিনিময় হার, তারল্য ও সুদহার পরিস্থিতি এবং নীতি সুদহারের গতিবিধি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং ব্যাংকিং খাতে ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের সমস্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে সবাই একমত হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এর মাধ্যমে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ শতাংশে এবং আগামী জুন শেষে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা যাবে। এদিকে, বিনিময় হার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

ঋণ-আমানতের সুদহার সীমা তুলে নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

Published

on

ব্লক

দেশের ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের সুদ ব্যবধান (স্প্রেড) তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত ঋণের হার বাজারভিত্তিক করতে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি অনুসরণ করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটে প্রতি মাসেই ঋণের সুদহার পরিবর্তনের সম্ভবনা রয়েছে।

এর আগে দেশের ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের সুদহার ব্যবধান ছিল ৪ শতাংশ। অর্থাৎ কোনো ব্যাংক আমানতের উপর যদি ৫ শতাংশ সুদহার দিতো তাহলে ওই ব্যাংক ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ নিতে পারতো। কিন্তু এবার আমানতে নির্দিষ্ট সুদহার না থাকায় ব্যাংকগুলো ইচ্ছাধীন সুদে আমানত গ্রহণ করতে পারবে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) এর সাথে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। সুদহার নির্ধারণের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হওয়ায় সুদহারের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে তারল্য পরিস্থিতির বিবেচনায় ঋণের সুদহারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমানতের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানত ও ঋণের সুদহারের সীমা নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।

এর আগে ২০১৮ সালের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিলো, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করছে। ঋণের সুদহার অযৌক্তিক মাত্রায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে যা উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে, উৎপাদনশীল খাতসহ বিভিন্ন খাতে ঋণের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের লক্ষ্যে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এরও আগে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল।

এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ অর্থাৎ সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের অক্টোবরে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে নভেম্বর মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সেই হিসেবে, চলতি নভেম্বর মাসে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ সুদ নিতে পারবে।

অর্থসংবাদ/আজাদ

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31