বৃষ্টির অভাবে আমের উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা

বৃষ্টির অভাবে আমের উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা
আমের জন্য সবার কাছে পরিচিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ জেলাকে কেউ বলেন আমের জেলা, আবার কেউ বলেন আমের রাজধানী। সে রাজধানীতে সবখানেই গাছের মুকুল থেকে ইতোমধ্যে ঝরে পড়েছে আমের গুটি।

গাছে গাছে আমের গুটি দেখা গেলেও দীর্ঘ ছয়-সাত মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে চিন্তিত আমচাষি ও বাগান মালিকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে প্রায় ৯৮ ভাগ গাছেই মুকুল আসে। জেলার পাঁচ উপজেলায় আমবাগান রয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর। বাগানগুলোতে গাছের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ।

জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল হওয়ায় এ আমকে ঘিরেই এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের মুখের হাসি যেন মলিন হয়ে গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগোলা, কোর্ট এলাকা, শিবগঞ্জ, বিরামপুর মরদানাসহ বেশ কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, আমের গুটি বের হওয়া শুরু হয়েছে। কোনোটি ছোট, আবার কোনোটি একটু বড়। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি স্বাভাবিকভাবে বড় হচ্ছে না। আবার যে গুটিগুলো এক সপ্তাহ আগে ফুটেছিল তাও ঝরে পড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এবার ভালো মুকুল আসার পাশাপাশি গুটিও সময়মতো এসেছে। তবে গত ৯ অক্টোবর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। এ মুহূর্তে বৃষ্টি হলে ফলন ভালো হবে। না হলে আম উৎপাদনে ব্যাহত হতে পারে।

খরচ বেশি পড়লেও আমচাষিদের গাছে পানি দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভরা মৌসুমে সবজির চড়া দাম
বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ
এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ
১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য নাটোরে
বাসার ছাদে সবজি চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা