জাতীয়
বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা

সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও বন্ধ হচ্ছে না বইমেলা।
প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের লকডাউন নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রোববার দেয়া ১১ দফা নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ এবং জনসমাবেশের ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।
৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
দুর্বল ব্যাংক টেনে তোলার নতুন উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংক

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকখাত সংকটে রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বেনামি ঋণ, তারল্য সংকট, উচ্চ খেলাপির হার, পরিচালক নিয়োগে পারিবারিক দৌরাত্ম্য প্রভৃতি। সমস্যা জর্জরিত ও দুর্বল এসব ব্যাংকের সংকট কাটিয়ে তোলার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক; সমস্যার ধরন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে ভাগ করা হবে চারটি ‘শ্রেণিতে’।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) ব্যাংকের তারল্য সংকট, পরিচালক নিয়োগ, উচ্চমাত্রার খেলাপি এবং বেনামি ঋণ বন্ধ করতে সংস্কার পরামর্শ দিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোকে কার্যকর সংশোধনমূলক পদক্ষেপ (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশোধনী পরিকল্পনায় ব্যাংকগুলোকে ক্যাপিটাল টু রিস্ক অ্যাসেট রেশিও (সিআরএআর), ক্যাপিটাল রেশিও (সিআর), কমন ইক্যুইটি (সিইটি), নেট নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) এবং করপোরেট সুশাসনকে ভিত্তি করে ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সংশোধনী কাজ ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশের অভ্যন্তরে সব তফসিলি ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকে কেন্দ্র থেকে শাখা পর্যন্ত এটি প্রয়োগ করার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সংশোধনী কাজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক।
ব্যাংকের সংকট উত্তরণে নতুন করে সংশোধনী কাজ আগামী ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে প্রস্তুত করার কথা জানানো হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পূর্ব নির্ধারিত পর্ষদ সভায় পরিচালকদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। নীতিমালাটি ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৭/ক ধারা, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার এবং তফসিলি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমওইউ’র আলোকে করতে হবে, এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতে এখন বড় সমস্যা সুশাসনের অভাব। সুশাসনের ঘাটতি মেটাতে পারলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তারল্য সংকট, ঋণের গুণগত মান, খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি, পরিচালকদের বেপরোয়া ঋণ গ্রহণ এসব সমস্যা সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে কমে যেতে বাধ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তফসিলি ব্যাংক সংশোধনী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপ নিজেরাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লিখিতভাবে জানাতে বাধ্য থাকবে। কোনো ব্যাংক যদি একই সঙ্গে চারটি ক্যাটাগরির একাধিক বিভাগের অধীনে পড়ে, তবে সেই ব্যাংক ‘খারাপ’ বা ‘দুর্বল’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। পিসিএ শুরু করার পরে সংশোধনমূলক নির্দেশক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা নামে জারি করা হবে। ব্যাংকের অবনতিশীল আর্থিক ও পরিচালন সূচক অবস্থার স্বাভাবিক উন্নতি ওই বছরের মধ্যে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে একটি গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে। যা বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত একটি বিন্যাস করার পর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ধারার আলোকে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও সেরা করদাতা জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া

গত কয়েক বছরের মতো আবারও সেরা করদাতা হয়েছেন পুরান ঢাকার জর্দা ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া। হাকিমপুরী জর্দা কোম্পানির স্বত্বাধিকারী, ৯০ বছর বয়সী কাউছ মিয়া ২০২২-২৩ করবর্ষে ‘ব্যবসায়ী’ ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। এর মাধ্যমে টানা ১৫ বছর সেরা করদাতা নির্বাচিত হলেন এই ব্যবসায়ী।
গত বছর কাউছ মিয়া ‘সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক’ ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছিলেন। তার আগের বছর মুজিব বর্ষের সেরা করদাতাও হয়েছিলেন তিনি।
সরকারি কোষাগারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত কয়েক বছর ধরেই ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতার অবস্থান ধরে রেখেছেন কাউছ মিয়া। ২০১৬-১৭ করবর্ষে কাউছ মিয়ার পরিবারকে কর বাহাদুর খেতাব দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
কাউছ মিয়া ১৯৫৮ সাল থেকে কর দিয়ে আসছেন। ১৯৬৬ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শীর্ষ করদাতা হয়েছিলেন।
২০১৯ সালে এনবিআরের এক অনুষ্ঠানে কাউছ মিয়া বলেছিলেন, আগে টাকাপয়সা এখানে-সেখানে রাখতাম। এতে নানা ঝামেলা ও ঝুঁকি থাকত। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দিয়ে “ফ্রি” হয়ে গেলাম। এরপর সব টাকাপয়সা ব্যাংকে রাখতে শুরু করলাম। হিসাব-নিকাশ পরিষ্কার করে রাখলাম।

কাউছ মিয়া ১৯৫০ সালে মাত্র ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কাউছ মিয়ার তথ্যমতে, ব্যবসা ও জমি নিয়ে তার এখন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
কাউছ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ না নিয়ে এবং নিয়মিত কর পরিশোধ করেই নিজের সম্পদ দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ করবর্ষের জন্য সেরা করদাতা মোট ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেরা করদাতার তালিকায় ব্যক্তি ৭৬ জন, কোম্পানি ৫৪টি ও অন্যান্য শ্রেণিতে ১১ জন রয়েছে।
ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে ২৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থা

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামসহ আরও ২৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থা। ২৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইসি সূত্র জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ২য় বিজ্ঞপ্তির আলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদনগুলো যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে এ সংক্রান্ত নীতিমালার ৪.৪ (ক) অনুচ্ছেদের আলোকে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কারো কোনো দাবি/আপত্তি/অভিযোগ থাকলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি আগামীকাল জারি হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।
ইসি জানায়, কারো বিরুদ্ধে কোনো দাবি/আপত্তি/অভিযোগ থাকলে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ আপত্তিকারীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখপূর্বক ৬ সেট আপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে। আপত্তির শুনানি শেষে তা গ্রহণ বা বাতিল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এর আগে ইসি, নির্বাচিত ৬৭টি সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়। ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচন তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। নতুন করে এই ২৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পেলের মোট ৯৬টি সংস্থা আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি পাবে।

যে নতুন ২৯টি সংস্থা নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে
ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ), প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নীড় (স্রাবন), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম, রুরাল ভিশন (আরভি), তরফসরতাজ শান্তি সংঘ (টিএসএস) বগুড়া, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাশা),পাথওয়ে, এমপাওয়ারমেন্ট থুল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ), জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, নাইস ফাউন্ডেশন, নারী উন্নয়ন সংস্থা, সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো), সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন (এসটিএএফ) ও বিয়ান মনি সোসাইটি।
অগ্রগতি সেবা সংস্থা (আসেস), আল-কোরআন প্রচার সংস্থা (আকপস) বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল আসফ লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন, এআরডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট), বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ), রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা, সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, উদ্ভাবনী মহিলা সংস্থা, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর দ্য নীডি (ভন), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্ৰচেষ্টা (ডিপিইউপি), সেলফ ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এসডিআই) ও বেডো আর্থসামাজিক কেন্দ্র।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আগামীকাল

মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে ভর্তুকি মূল্যে ডিসেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল চিনি ও চালের সঙ্গে পেঁয়াজ যুক্ত করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় টিসিবি।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান। জুলাই মাস থেকে এ বিক্রি কার্যক্রমে টিসিবি পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেওয়া চাল যুক্ত হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইস ব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
অন্যদিকে এতদিন টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে ১ কেজি চিনিও কিনতে পারতেন। কিন্তু কয়েকমাস সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হয়নি। এ মাসে সেটি আবারও বিক্রি কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়েছে। এবারও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে দেওয়া হবে। সঙ্গে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে দেওয়া হবে ২ কেজি পেঁয়াজ। তবে, চিনি পেঁয়াজ সব জায়গায় পাওয়া যাবে না। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিটি কর্পোরেশন ও জেলায় সেরা করদাতা ৫২৫ জন

কর প্রদানে উৎসাহিত করতে জাতীয় পর্যায়ের পর সিটি কর্পোরেশন ও জেলায় ৫২৫ জনকে সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
২০২২-২০২৩ করবর্ষে ১১টি সিটি কর্পোরেশনে ৭৭ জন ও ৬৪ জেলায় সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী ও দীর্ঘসময় আয়কর প্রদানকারী ক্যাটাগরিতে ৪৪৮ জনকে সেরা করদাতা নির্বাচন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এর মধ্যে প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন ও জেলা থেকে দুইজনকে দীর্ঘসময় ও তিনজনকে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী হিসেবে এবং একজনকে নারী ও তরুণ ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচন করা হয়েছে।
সরকার ঘোষিত জেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘসময় আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী সেরাদের নাম প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২০২২-২৩ কর বছরে সর্বোচ্চ কর দিয়ে সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪১ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৬, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৩ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২টিসহ মোট ১৪১টি ট্যাক্স কার্ড প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে এনবিআর।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ কর বছরে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পর্যায়ে মনোনীত ৫২৫ জন সেরা করদাতার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭৭ জন সর্বোচ্চ কর প্রদানকারীকে সেরা করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান করা হবে। প্রতি সিটি কর্পোরেশনে সাত জনকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সাত জন ও প্রতিটি জেলায় সাত জন করদাতাকে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী হিসেবে কার্ড প্রদান করা হবে।
এর মধ্যে রয়েছে ২০২২-২৪ করবর্ষে দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী দুই জন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিন জন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী (মহিলা) একজন ও একজন তরুণ করদাতা (বয়স ৪০-এর নিচে)।
প্রজ্ঞাপনে সর্বোচ্চ করদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম, ইটিআইএন নম্বর, কর অঞ্চল ও তাদের ঠিকানাসহ বর্ণনা দেওয়া রয়েছে।
সেরা করদাতাদের নাম জানতে ক্লিক করুন এখানে।