তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চের রেমিট্যান্সের পরিমাণ গত বছরের একই মাসের (মার্চ-২০২০) চেয়ে ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত বছরের মার্চে ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-মার্চে) প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার বা এক লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সপ্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে রিজার্ভ। সবশেষ ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ০৯ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০৯ কোটি ডলার।
সদ্য বিদায়ী মার্চ মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি মার্কিন ডলার এবং একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ২৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবিষয়ে বলেন, প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ নিয়ামকানুন সহজ করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন সংস্কারমুখী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ।
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমাদের এ অর্জন দিন দিন বেড়েই চলছে, আমাদের প্রত্যাশা এটি আরও বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে হয়রানি করা হয় না, সময় মতো এর উপকারভোগীর হাতে পৌঁছে যায়। যে কারণে এটি দিন দিন বেড়েই চলছে এবং বাড়তেই থাকবে।’