পতনে আরও একটি সপ্তাহ পার করল শেয়ারবাজার

পতনে আরও একটি সপ্তাহ পার করল শেয়ারবাজার
আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস বড় পতন, করোনা ভাইরাস আতংকে দ্বিতীয় কার্যদিবস ব্যাপক পতন। পরের দুই কার্যদিবস বড় উত্থান এবং শেষ কার্যদিবসে আবার বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস সূচক কমেছে আর দুই কার্যদিবস সূচক বেড়েছে। অর্থাৎ বাড়া কমার হিসাব শেষে দেখা গেছে গত সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে।

সপ্তাহটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৮ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩২২ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৫ টাকা বা ১৩.৩৭ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪১০ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩৩ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৪১৭ কোটি ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৮২ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৭৫ টাকা কম হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫৫ পয়েন্ট বা ৫.৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৩০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫৮ পয়েন্ট বা ৫.৭২ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৮১ পয়েন্ট বা ৫.৫২ শতাংশ এবং সিডিএসইটি সূচক ৪৯ পয়েন্ট বা ৫.৬৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫৮, ১৩৮২ ও ৮১৫ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টি বা ৭ শতাংশের, কমেছে ৩২৬টির বা ৯১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির বা ২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ১৩২ কোটি ২১ লাখ ২২ হাজার ৭৯৯২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৪ টাকার।

এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৪০ কোটি ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮ টাকা বা ৪৩ শতাশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৬১ পয়েন্ট বা ৫.৬৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬৪৩ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসসিএক্স ৪৬২ পয়েন্ট বা ৫.৬৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫২৮ পয়েন্ট বা ৪.৫৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৫৪ পয়েন্ট বা ৫.৬৯ শতাংশ এবং সিএসআই ৫৪ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৭ হাজার ৬৬২ পয়েন্ট, ১১ হাজার ২৮ পয়েন্ট, ৮৯৯ পয়েন্ট এবং ৮২০ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির বা ৯ শতাংশ, দর কমেছে ২৬১টির বা ৮৮ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির বা ৩ শতাংশ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত