ভারতের শেয়ারবাজারে 'ব্ল্যাক থার্সডে', নজীরবিহীন পতন

ভারতের শেয়ারবাজারে 'ব্ল্যাক থার্সডে', নজীরবিহীন পতন
করোনা আতঙ্কে এক দিনে পতনের সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। সেনসেক্স এবং নিফটি কোনও সূচকেই এত বড় পতনের নজির নেই শেয়ার বাজারের ইতিহাসে। বৃহস্পতিবার সেনসেক্সে সর্বনিম্ন পতন হয়েছিল ৩২০০ পয়েন্টেরও বেশি। নিফটিও ৩৩ মাসের রেকর্ড ভেঙে ৯৫০০ অংক ছুঁয়েছে। তবে দিনের শেষে দুই সূচকই সামান্য উঠেছে। করোনাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্কর অতিমহামারীর ঘোষণা, বিশ্ব বাজারে তেলের দামে আরও পতন এবং আন্তর্জাতিক সব শেয়ার বাজারের নিম্নগতি— এটিকে আরও এক ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ দেখল ভারতীয় শেয়ার বাজার।

করোনাভাইরাস যত ছড়াচ্ছে, ততই ধস নামছে ভারতের সঙ্গে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) করোনাকে এনডেমিক বা ‘অতিমারী’ (মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্কর) ঘোষণা করেছে। তার জেরে বাজার খোলার সময় থেকে ক্রমাগত পড়তে থাকে শেয়ার বাজার। দিনের মধ্যে কখনও সামান্য উপরে উঠেছে, তো পরের মুহূর্তেই হু হু করে নেমেছে সূচক।

মুম্বাই শেয়ার সূচক সেনসেক্সের সকাল শুরু হয়েছিল ১৫ হাজার পয়েন্ট নীচে থেকে। তার পর সারা দুপুর পর্যন্ত ২০০০ থেকে ২৫০০ পয়েন্ট নীচে ঘোরাফেরা করেছে। কিন্তু তার পর থেকে কার্যত উল্কার বেগে পতন শুরু হয়। এক সময় ৩২০৪.৩০ পয়েন্ট নেমে সেনসেক্স পৌঁছে যায় ৩২৪৯৩ পয়েন্টে। তবে বাজার বন্ধ হওয়ার আগে কিছুটা উঠে দিনের শেষে বন্ধ হয়েছে ৩২৭৭৮.১৪ পয়েন্টে। পতন ২৯১৯ পয়েন্ট বা ৮.১৮ শতাংশ। নিফটিতেও কার্যত ‘ফ্রি ফল’। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন পতন ছিল ৯৫০.৪ পয়েন্ট। তখন নিফটির সূচক ছিল ৯৫০৮ পয়েন্টে। বাজার বন্ধের সময় সেই সূচক কিছুটা বেড়ে ৯৫৯০ অঙ্কে। পতন ৮৬৮.২৫ পয়েন্ট (৮.৩০ শতাংশ)। দুই সূচকের ইতিহাসেই এত বড় পতন এর আগে কখনও হয়নি।

আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কোনও ক্ষেত্র নেই, যেখানে পতন কম হয়েছে। ব্যাংক থেকে গাড়ি, উৎপাদন থেকে বিমা, সবক্ষেত্রেই পতনের হার প্রায় একই রকম। তার মধ্যেও সবচেয়ে বেশি পড়েছে এইচডিএফসি ব্যাংক (৯%), এইচডিএফসি (৭%), রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (৭%), এসবিআই, এক্সিস ব্যাংক, আইটিসি, ওএনজিসি-র (প্রায় ১৩%) শেয়ার।

করোনা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। ক্রমাগত বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। করোনাকে অতিমারী ঘোষণা করায় সারা বিশ্বে তার জেরেই এই পতন বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। এই পতন কোথায় গিয়ে থামবে, বিশেষজ্ঞরাও কেউ আঁচ করতে পারছেন না। সূত্র-আনন্দবাজার, বিজনেস লাইন এবং মানিকন্ট্রোল

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া