সুলভ মূল্যের লড়াই বাড়ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে

সুলভ মূল্যের লড়াই বাড়ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এখন নতুন কিছু না। এরই মধ্যে একদশক সময় পার করেছে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। সেন্ড মানি ফ্রি ও কম ক্যাশ আউট চার্জ নিয়ে এতদিন এই খাতে তেমন কোনো আলাপ ছিল না। এই দৃশ্যটি পরিবর্তন করেছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

এমএফএস ব্যবসার শুরুর দিকে ২০১৪ সালে প্রতি হাজার টাকা ক্যাশ আউটে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা দীর্ঘ সময় ধরে বহাল ছিল। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরুর কিছুদিন পরই রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’ প্রথমবারের মতো ক্যাশ আউট চার্জ কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনে এবং সেন্ড মানি সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেয়। এর ফলে দুই বছর বয়সী সম্পূর্ণ নতুন এই সেবাটি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দীর্ঘদিনের পুরোনো এমএফএস রকেটকে পেছনে ফেলে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে বিকাশের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম এমএফএস এখন ‘নগদ’।

এক দশক ধরে চলে আসা ১৬টি এমএফএস সেবার এই বাজারে ‘সুলভ মূল্য’ প্রদানের লড়াইয়ের সূচনা করেছে ‘নগদ’। যার ফলে গত সপ্তাহে বিকাশ গ্রাহককে পাঁচটি প্রিয় নম্বরে সেন্ড মানি ফ্রি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও বিকাশের শর্ত হচ্ছে, নির্ধারিত ওই পাঁচটি নম্বরে ২৫ হাজার টাকার বেশি সেন্ড মানি করলে গ্রাহকদের প্রতি ট্রানজেকশনে পাঁচ টাকা করে সেন্ড মানি ফি দিতে হবে। এ ছাড়া বিকাশ আরও বলেছে, এই ট্রানজেকশন যদি ৫০ হাজার টাকা অতিক্রম করে, তাহলে গ্রাহককে প্রতি ট্রানজেকশনে অতিরিক্ত ১০ টাকা করে সেন্ড মানি ফি দিতে হবে।

সাধারণত এই ধরনের কোনো সেবা একটি উচ্চতায় যাওয়ার পর সেবার পেছনে বিভিন্ন চার্জ কমে যায় বা কমানো হয়। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবার চার্জ কমানোর বিষয়টি বলা যেতে পারে, যদিও এর পেছনে রেগুলেটরির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গেল ডিসেম্বরে এমএফএস মার্কেটের বাৎসরিক লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সাত বছর আগে যা ছিল ৭৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এমএফএস সেবার মূল্যহার সাত বছর আগে বেধে দেয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক, যেখানে প্রতি হাজার টাকা ক্যাশ আউটে ২০ টাকা চার্জ করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। এরপর এ বিষয়ে আর কোনো কাজ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

নগদের বিভিন্ন সেবার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা আমাদের সেবা একটু সহজ উপায়ে প্রদানের চেষ্টা করছি। এজন্য নগদ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে।’

তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, ‘একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার বাজারে গ্রাহকেরা যেকোনো সেবার জন্য যৌক্তিক দাম দেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে, আর এই বিষয়টিকে আমরা উদ্বুদ্ধ করি এবং স্বাগত জানাই।’

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

এনআরবি ডে অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ
পাবনার সুজানগরে স্বপ্ন’র নতুন আউটলেট
জেসিআই বাংলাদেশ ২০২৪ লোকাল অফিসার্স ট্রেনিং সম্পন্ন
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ও প্রবাসী সেবায় সম্মাননা পেলো ইসলামী ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংক ও মেটলাইফের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি
এসবিএসি ব্যাংকের ৮৯তম শাখা উদ্বোধন
ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফেতে ‘বানিয়ালুলু’ নিয়ে আলোচনা
তিন জেলায় বিকাশের পেমেন্ট মেলা
সাফা ‘ওভারঅল উইনার’ ও ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
আইএফআইসি ব্যাংকের কম্বল বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন