ডিএসই’তে মূলধন কমেছে পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকা

ডিএসই’তে মূলধন কমেছে পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকা
গত সপ্তাহে ব্যাপক পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহটিতে সব সূচক কমেছে। একই সাথে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। সপ্তাহটিতে উভয় পুঁজিবাজারে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে বেড়েছে। তবে আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও বিনিয়োগকারীরা পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে।

সূত্র মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।

এ সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩ হাজার ৮ কোটি ৮৪ লাখ ২৯ হাজার ৮৬১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৮০ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪০ টাকা বা ১৪.৫০ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ১২১ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬০১ কোটি ৭৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭২ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৬৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৫৫ কোটি ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৫৮ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৭.৪৮ পয়েন্ট বা ১.৯৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩২৭.২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৯.৯৯ পয়েন্ট বা ২.৪০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫২.৯৯ পয়েন্ট বা ২.৫৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২১৭.৬৯ এবং ২০২০.৯০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৩টির বা ১৪.৪০ শতাংশের, কমেছে ২২১টির বা ৬০.০৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৪টির বা ২৫.৫৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৮৫ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১৬ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ১৫২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৬৯ কোটি ৩৭ লাখ ২১ হাজার ৪৩৩ টাকা বা ১৪৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩২৫.৫৯ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪২৪.৫৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৯৫.৭৮ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪০১.১৭ পয়েন্ট বা ৩.২৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৭.৮৬ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ এবং সিএসআই ১২.১৩ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৩০৪.৯৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৭৪.১০ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৭৫.৭০ পয়েন্টে এবং ৯৯১.০৯ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৪টির বা ১৭.৯৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬৯টির বা ৫৬.১৫ শতাংশের কমেছে এবং ৭৮টির বা ২৫.৯১ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত