ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ নাইকির আর্থিক অবস্থার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এক বছরে বিক্রি বেড়ে ১ হাজার ১০ কোটি থেকে ১ হাজার ৩৬ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এটা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ১ হাজার ১০২ কোটি ডলারের নিচে রয়েছে। অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা ও কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়েছে সংস্থাটি।
উত্তর আমেরিকায় বছরে নাইকির রাজস্ব কমেছে ১০ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে রয়েছে বন্দরে পণ্যজট ও পরিবহন ব্যবস্থায় বিলম্ব। দেখা গেছে, কখনো পণ্য পৌঁছতে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগেছে। ফলে নাইকির স্টোরগুলোয় যথাসময়ে পণ্য পৌঁছেনি, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারাও সময়মতো পণ্য হাতে পাননি। তাই নতুন পণ্য প্রদর্শনের জন্য এখন পুরনো বা দেরিতে পৌঁছা পণ্যের ওপর কিছুটা ছাড়ও দিতে হচ্ছে। আবার ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলে মহামারীর কারণে বহু খুচরা ব্যবসার দোকান বন্ধ রয়েছে। অবশ্য এসব জায়গায় অনলাইনে বেচাকেনা চলছিল। অন্যদিকে চীনে ৫১ শতাংশ বেড়েছে নাইকির বিকিকিনি।
গত বছর নাইকির অনলাইন ব্যবসা বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। মানুষ করোনার কারণে ঘরে বসে থাকলেও অনলাইন কেনাকাটার মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে নতুন মডেলের স্নিকার বা খেলার সামগ্রী। তাই এখন সংস্থাটি ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা ভাবছে। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের মন জয় করতে থার্ড পার্টি অ্যাপেও বিনিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে।