বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত

বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত
বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময় সভায় এই আলোচনা হয়। সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

জানা যায়, বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের (এসপিএফ) তফসিলি ব্যাংকগুলোর দু’শ কোটি টাকা বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত সার্কলারে কিছুটা পরিবর্তন এনে এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সম্পদভিত্তিক বিধিমালা), ২০০৪ এর যুগোপযোগীর মাধ্যমে এসপিডির তহবিল সম্পদভিত্তিক সিকিউরিটিজ এ বিনিয়োগের পাশাপাশি অন্যান্য ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ যেমন: সুকুক, করপোরেট বন্ড, গ্রিন বন্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ব্যাংকের লভ্যাংশ প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা (উক্ত সার্কুলারের ১ (ক) এ বর্ণিত সিলিং) ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

এদিকে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদ লভ্যাংশ দেয়অর সর্বোচ্চ সীমার (১৫ শতাংশ) অতিরিক্ত বোনাস শেয়ার সামর্থ্য অনুসারে ইস্যুর ঘোষণা করতে পারবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

তফসিলি ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন উভয়ই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সব স্তরের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি যৌথভাবে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে কর প্রদানসংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা সার্কুলারের কার্যকারিতা বাতিলের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি এনবিআরকে অনুরোধ জানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কমিশনের অনুমোদিত টায়ার-লেডিশনাল ক্যাপিটাল হিসেবে ব্যাংকের মাধ্যমে ইস্যুকৃত পারপাচুয়াল বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে দ্রুত লেনদেনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়াও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের বিনিয়োগ সংক্রান্ত এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার গণনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত সিকিউটিজের বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে গণনা করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিনিধিরা কমিশনকে আশ্বস্ত করেন।

সভায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কার্যকর সমম্বয়সহ পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আগে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অন্যান্য বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত