গত সপ্তাহে সূচকের সাথে লেনদেনও বেড়েছে ডিএসইতে

গত সপ্তাহে সূচকের সাথে লেনদেনও বেড়েছে ডিএসইতে
গত সপ্তাহে উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহটিতে বাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। উত্থানের কারণে সাপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

সূত্র মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫ কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৭৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৩৩০ কোটি ৮৯ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৭৩৪ কোটি ৯১ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ টাকা বা ২০.৪৪ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৮৬৬ কোটি ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৫১ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩.০৭ পয়েন্ট বা ০.৯৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৬৮.৮৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.১৭ পয়েন্ট বা ১.৩৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪১.৯৯ পয়েন্ট বা ১.৯৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে ১২৬৫.৭৭ এবকং ২১৫৪.৬৭ পয়েন্টে।

এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির বা ৩০.৭১ শতাংশের, কমেছে ১৬৬টির বা ৪৫.১১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৯টির বা ২৪.১৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৫৪ কোটি ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২০৬ কোটি ২২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৯৮৯ টাকা বা ২৩.৪৭ শতাংশ বেশি হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৭.৭৭ পয়েন্ট বা ১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৬৪.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১৬.৭৮ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৯০.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৭.১৯ পয়েন্ট বা ১.৪১ শতাংশ এবং সিএসআই ২১.৩৭ পয়েন্ট বা ২.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৭৪৯.৯৫ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৪১৪.৫৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ২৩৯.৭৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ২৭.০৫ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০২টির বা ৩৪.১১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৬টির বা ৪২.১৪ শতাংশের কমেছে এবং ৭১টির বা ২৩.৭৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত