বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ৭০টি উপজেলা কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের আবারও সজাগ হতে হবে। করোনা চলে যায়নি। করোনা যখন যাবে তখন আমরা সবাই জানবো। শুধু বাংলাদেশ না, পুরো পৃথিবী থেকে দূর হলেই বাংলাদেশ নিরাপদ হবে। কাজেই এক ডোজ টিকা নিয়েই ভাবা উচিত না যে করোনামুক্ত। টিকা নিলেই করোনামুক্ত হবে না। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর সময় লাগবে সুরক্ষা তৈরি হতে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগে করোনা থেকে সুরক্ষা তৈরি হবে না।
তিনি বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে কোভ্যাক্সের ১ কোটি ৯ লাখ ডোজ টিকা আসতে পারে। আর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় চালান এই মাসে আসতে পারে। এরপর বাকি টিকা ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকবে। সারাদেশে করোনা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি আছে, অনুষ্ঠানসহ সামাজিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
টিকার জন্য ৫৩ লাখেরও বেশি নিবন্ধন হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয় একজনকে। সে হিসাবে ২ কোটি ডোজ দিয়ে ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী এবং আবাসিক ছাত্রদের টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে এর আগেই শিক্ষার্থীও শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হবে।
বয়সসীমা ৪০ নির্ধারণ করার কারণে দেশের ৪ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে, এ পর্যন্ত ভালোই আছে। এই ভালোটা বজায় রাখতে চাই। টিকা যদি আমাদের হাতে বেশি আসে, সব শিডিউল ঠিক থাকে, তাহলে হয়তো বয়সের বিষয়ে চিন্তা করতে পারব।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।