এসএমই উদ্যোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য খাতে মনোযোগী হতে সুপারিশ

এসএমই উদ্যোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য খাতে মনোযোগী হতে সুপারিশ
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) মধ্যে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে উদ্যোক্তাদের মনোযোগী হওয়ার তাগিদ এসেছে সরকারের দুটি মন্ত্রণালয় দুই অতিরিক্ত সচিবের কাছ থেকে।

ভেজালমুক্ত খাদ্য উৎপাদন ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই খাতটিকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যেতে সরকারি সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে ‘বাংলাদেশ নিউট্রি স্টার: নিউট্রিওশন ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের আনুষ্ঠানিক খাতের চেয়ে অনানুষ্ঠানিক খাত অনেক বড় খাত হিসেবে বিবেচিত। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) অনানুষ্ঠানিক খাত হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় দেশে এই শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

“এসএমই খাতকে আরও বড় পরিসরে নিতে সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের খাদ্যে ভেজালরোধে নিরাপদ খাবার উৎপাদন ও সরবরাহের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।”

লুৎফুন নাহার বলেন, খাদ্যে ভেজালমুক্ত করতে হলে নিরাপদ খাবার উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। দেশে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ উদ্যোক্তা রয়েছেন।

“দেশের এই বিশাল সংখ্যক এসএমই উদ্যোক্তারা নিরাপদ খাবার উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনাও জরুরি।।”

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে তিনটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রথম হয়েছে ফিড মি, দ্বিতীয় হয়েছে খামার-ই এবং তৃতীয় হয়েছে সাঁকো এন্টারপ্রাইজ।

শিল্প মন্ত্রণালয়, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিওএফপি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পর‌্যন্ত এ প্রিতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের আবেদন গ্রহণ করা হয়।

এই সময়ে জমা পড়া ১৪০ আবেদনপত্র থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ছয় সদস্যের বিচারক প্যানেল ১০টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে রাখা হয়।

এর মধ্য থেকে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার প্রথম বিজয়ী দলকে নগদ আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যেক্তারা বছরের শেষ দিকে সিঙ্গাপুরে গ্লোবাল সান পিচ প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন।

দ্বিতীয় বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে নগদ ২ লাখ ও তৃতীয় দলকে দেড় লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

গত ১৩ জানুয়ারি এ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভরা মৌসুমে সবজির চড়া দাম
বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ
এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ
১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য নাটোরে
বাসার ছাদে সবজি চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা