বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে শুল্কছাড় দাবি

বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে শুল্কছাড় দাবি
দুনিয়াজুড়ে এখন পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি জনপ্রিয় হচ্ছে। দেশেও এই মোটরযানের ব্যবহার বাড়াতে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এটির ওপর থেকে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক্-বাজেট আলোচনায় বারভিডার পক্ষে দাবিটি তুলে ধরেন সভাপতি আবদুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের সদস্য (আয়করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন।

নতুন গাড়ি আমদানিতে নীতিসহায়তা দেওয়ায় একবার ব্যবহৃত বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ব্যবসা অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েছে বলে দাবি করেন বারভিডার সভাপতি। তিনি বলেন, অসম প্রতিযোগিতায় পড়ে পুরান গাড়ি আমদানি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ক্রমাগত লোকসানের কারণে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন।

আমদানি হওয়া নতুন ও পুরোনো গাড়ির ব্যবসার মধ্যে ভারসাম্য আনতে ইয়েলো বুকে উল্লিখিত গড় মূল্য থেকে ডিলার কমিশন বাবদ ২০ শতাংশ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বারভিডা। তা ছাড়া পুরোনো গাড়ির মূল্যের ওপর অবচয়ের হারেও পরিবর্তন আনার কথা বলেছে সংগঠনটি। এই বিষয়ে তাদের যুক্তি, বর্তমানে যে হারে অবচয় প্রদান করে শুল্কমূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটি ন্যায়সংগত নয়।

উৎপাদনের পরবর্তী বছর আমদানি হলে গাড়ির মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর ২০ শতাংশ, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ, চতুর্থ বছর ৪০ শতাংশ ও পঞ্চম বছর ৪৫ শতাংশ হারে অবচয় নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বারভিডা। আর অবচয় সুবিধার জন্য বয়স গণনার ক্ষেত্রে চেসিস বুকে উল্লিখিত গাড়ি উৎপাদনের পরবর্তী বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে সিসিভেদে সম্পূরক শুল্কের পুনর্বিন্যাস দাবি করেছে বারভিডা। সংগঠনটি ১ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ২০০১ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ, ২৫০১ থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ৬০ শতাংশ, ৩৫০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত ১০০ শতাংশ, ৪০০০ সিসির ঊর্ধ্বে ১৫০ শতাংশ এবং ১৮০০ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের দাবি করেছে। এ ছাড়া ফসিল ফুয়েলে চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে ১৬০০ সিসি পর্যন্ত ৩০ শতাংশ, ১৬০১ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত ৬০ শতাংশ, ২০০১ থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত ১০০ শতাংশ, ৩০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত ১৫০ শতাংশ, ৪০০০ সিসির ঊর্ধ্বে ২০০ শতাংশ এবং মাইক্রোবাসে ২০০০ সিসি পর্যন্ত ২০ শতাংশ ও ২০০১ সিসির ঊর্ধ্বে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের দাবি করেছে বারভিডা।

জাপানি বাস আমদানির পথ সুগম করতে আমদানি শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা। তারা বলছে, শুল্ক ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনলে সাশ্রয়ী মূল্যে অত্যাধুনিক জাপানি বাস আমদানির পথ সুগম হবে। তাতে কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

এ ছাড়া ডাম্প ট্রাক, ফায়ার ফাইটিং ভেহিক্যালস, মিক্সচার লরি, ক্রেন লরি ইত্যাদি আমদানিতেও শুল্কহার ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা। তারা বলেছে, জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট এসব মোটরযান অনেক ব্যয়বহুল। উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি হচ্ছে না। তবে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে এসব মোটরযানের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি