মশা মারতে এক বছরের ওষুধ মজুদ আছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

মশা মারতে এক বছরের ওষুধ মজুদ আছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
গত বছরের ডেঙ্গুর অভিজ্ঞতা থেকে ‘শিক্ষা নিয়ে’ এ বছর আগেভাগেই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে এখন মশা মারার জন্য এক বছরের ওষুধ মজুদ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “গত বছর তিক্ত যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কয়েকদিন আগে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখার চেষ্টা করেছি।”

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মশা মারতে যে ওষুধ আনা হয়েছে এবং মজুদ রয়েছে, সেসব ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ওষুধের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।

“আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের ওষুধ উভয় সিটি করপোরেশনের কাছে মজুদ আছে। এসব ওষুধ স্প্রে করার জন্য যে পরিমাণ যন্ত্রপাতি দরকার, তাও আছে বলে আমাকে অবহতি করা হয়েছে।”

দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য প্রতি ওয়ার্ডে ত্রিশজন করে লোকবল চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে লোকবলের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

গতবছর সারা দেশে এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুরো বছরে এক লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় অন্তত ১৬৪ জনের।

সে সময় মশা মারতে ব্যর্থতার জন্য সমালোচনায় পড়ে সিটি করপোরেশন। মশা মারার ওষুধ আমদানি নিয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের টানাপড়েন আদালতেও গড়ায়।

এবার ঢাকার দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব নেবেন মে মাসে। তাহলে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়ে যাবে কি না- সেই প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “যিনি আছেন সঙ্গত কারণেই তিনি দায়িত্ব পালন করবেন এবং সেখানে একটি ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, অনেক কর্মকর্তা রয়েছে। সেই কর্মকর্তারা কাজ করবেন।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তাদের ডেকে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কথা বলেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কয়েকটি সমস্যার কথা তারা বলেছে এবং সেসব সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সুতরাং আমার মনে হয় সব ঠিকই আছে।”

এবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় জলাবদ্ধতা এড়াতে প্রস্তুতি জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “সবার জন্য স্বস্তিকর নাগরিক জীবন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। সেই কাজ করতে গিয়ে পুরো সফলতা অর্জন করিনি। পিছিয়ে আছি তাও নয়। বনশ্রীর খাল সংস্কার করা হচ্ছে, রূপনগর খালে অনেক ময়লা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। আমি নির্দেশনা দিয়েছি ত্রিশ ফুট হলে ত্রিশ ফুটই খনন করা হোক।”

পুরো লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারলেও ঢাকার রাস্তাঘাট এখন আগের তুলনা পরিষ্কার হয়েছে বলে দাবি করেন তাজুল ইসলাম।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু