পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ: বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ: বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের সমাবেশে দলটির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এই মামলাটি দায়ের করে।

মামলায় এজাহার নামীয় ৪৭ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে (পুলিশ অ্যাসল্ট) হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাংচুর চালানো।

সোমবার (১ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার আসামিদের আদালতে উপস্থাপন করা হবে। রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় প্রেসক্লাব সংলগ্ন অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালা ভাংচুরসহ পুলিশের উপর হামলা চালায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

মামলায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালার ভাংচুর করে।

ঘটনাস্থল প্রেসক্লাব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে ৭-৮ জন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ছাত্রদলের আরও তিন নেতাকর্মীকে আটক করে গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম।

অনুমতি ছাড়াই তারা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আগে থেকে এ ধরণের সমাবেশের কথা আমরা শুনিনি। গত রাতে হঠাৎ করে তারা সমাবেশ ডাকে। সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে জড়ো হতে থাকে। প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এখানে সমাবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তাদের অনুমতি ছিল না। আমরা সকালেও তাদের অনুমতি নিতে বলেছি। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করে এবং প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইটের টুকরা ছোড়ে। এরপরই মূলত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

শ্রম আদালতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস
ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে
বিচারপতির বাসভবনে ১১ জন প্রধান বিচারপতি
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল চেয়ে রিটের শুনানি আজ
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বৈধ
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আর নেই
হাইকোর্টে ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি
আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মারা গেছেন
অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ