কমিশন বাতিলের খবরে বেড়েছে ইন্সুরেন্সের দর

কমিশন বাতিলের খবরে বেড়েছে ইন্সুরেন্সের দর
রোববার পুঁজিবাজারে বড় দরপতনের দিনে জেনারেল ইন্সুরেন্সের অধিকাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। লেনদেনও অনেক বেড়েছে কোম্পানিগুলোর।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭টি জেনারেল ইন্সুরেন্সের মধ্যে ২৭টি কোম্পানির দর বেড়েছে, ৯টি কোম্পানির দর কমেছে এবং ১টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।

এছাড়া্ও আজ ডিএসইর শীর্ষ দর বৃদ্ধির তালিকায় ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি ছিল ইন্সুরেন্স খাতের।

অন্যদিকে, আজ ইন্সুরেন্স খাতে লেনদেনও অনেক বেড়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ইন্সুরেন্স খাতে লেনদেন হয়েছিল ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আজ খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগেরদিনের তুলনায় আজ ইন্সুরেন্স খাতে লেনদেন বেড়েছে ২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেনের সই করা একটি নির্দেশনায় সাধারণ বীমা কোম্পানির এজেন্ট কমিশন বাতিল করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।আগামী ১ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।ফলে ব্যবসা অর্জন বা বীমা পলিসি বিক্রির বিপরীতে এজেন্টদের কোনো ধরনের কমিশন দেয়া যাবে না।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৫ শতাংশ কমিশন এজেন্টদের জন্য নির্ধারিত থাকলেও, কোম্পানিগুলো মূলত এটি গ্রাহকদের দিতো। এতে কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলে। কমিশন এজেন্ট তুলে দেয়ার কারণে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর মুনাফা বেড়ে যাবে।

অনেকে বলছেন, সামনে কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা রয়েছে। জেনারেল ইন্সুরেন্সগুলো এবছর বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিবে-বাজারে এমন গুঞ্জনও রয়েছে। এছাড়া, প্রভাতী ইন্সুরেন্স, অগ্রণী ইন্সুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স ও ইসলামিক ইন্সুরেন্সের মূলধন বাড়ানোর বিষয়ও রয়েছে। সব মিলিয়ে জেনারেল ইন্সুরেন্সে দিন দিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। তাই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর যেমন বাড়ছে, লেনদেনও বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে বীমা খাতের নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আইডিআরএ গঠিত হওয়ার পর ২০১২ সালেই প্রজ্ঞাপন জারি করে এজেন্ট কমিশনের হার ১৫ শতাংশ বেধে দেয়া হয়েছিল। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বীমা মালিকদের মধ্যে দেখা দেয়া বিরোধের কারণে তা মুখ থুবড়ে পড়ে।

এতে সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর এজেন্ট কমিশন নিয়ে এক ধরনের বিশৃঙ্খলাও দেখা যায়। অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে কোনো কোনো কোম্পানি ৭০ শতাংশ পর্যন্তও কমিশন দিতে থাকে। যা এজেন্টের বদলে চলে যায় গ্রাহকদের পকেটে। যা সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন পক্ষ থেকে এর সমালোচনাও করা হয়।

তাই এজেন্ট কমিশন প্রদানে অনিয়ম দূরীকরণে আইডিআরএর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নন-লাইফ বীমা খাতে কর্তৃপক্ষ অনেক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও কমিশন সংক্রান্ত বিষয়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত হচ্ছে না। এ অবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে বীমা আইন, ২০১০-এর অধীনে বীমা এজেন্ট নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রবিধানমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত না হওয়া পর্যান্ত নন-লাইফ বীমা খাতে কমিশন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত