সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন চাষিদের

সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন চাষিদের
সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে বরই বা কুল চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে কুল চাষিদের। স্বল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে কুল চাষের পরিমাণ। জানা গেছে, গত বছর প্রায় ৭ কোটি টাকার কুল বিক্রি করেছেন কুল চাষিরা। যেটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় একটি হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে।

এই অঞ্চলে কুলের চাষ বেড়েই চলেছে। এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সাতক্ষীরা জেলার কুল দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয় তার মধ্যে রয়েছে, বাউকুল, আপেলকুল, নারকেলকুল, বিলাতিকুল, নাইনটি ও মিষ্টিকুল অন্যতম। দেশব্যাপী সাতক্ষীরার উৎপাদিত এসব কুল ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র গনমাধ্যমকে জানায়, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে ৬২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার কুলের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৩০ হেক্টর, কলারোয়ায় ২১০ হেক্টর, তালায় ২০৫ হেক্টর, দেবহাটায় ১৫ হেক্টর, কালিগঞ্জে ২০ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৫ হেক্টর ও শ্যামনগরে ২৫ হেক্টর। প্রতি বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মণ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

তবে গত বছরের তুলনায় এবার কুলের আবাদ কিছুটা বেড়েছে বলে জানান সূত্রটি। গেল মৌসুমে জেলায় কুল চাষ হয়েছিলো ৫৫০ হেক্টর জমিতে। সেখানে এবছর ৭০ হেক্টর পরিমাণ বেড়েছে।

কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুল চাষ। এ জেলার উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা ও চট্রোগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভরা মৌসুমে সবজির চড়া দাম
বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ
এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ
১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য নাটোরে
বাসার ছাদে সবজি চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা