ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না জাবিও

দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রস্তাবে বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পর আপত্তি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। তারাও আগের মতোই নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ইউজিসি প্রস্তাবিত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে অসম্মতি জানিয়েছে ৭৩-এর অধ্যাদেশভুক্ত সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ই। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জাবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
তিনি বলেন, আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব রহিমা কানিজ বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে প্রথম আলোচনা হয়। সেদিন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিশেষ একাডেমিক সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী বিশেষ একাডেমিক সভায় বসেন সদস্যরা। সভায় উপস্থিত ৪০ সদস্যের মধ্যে অধিকাংশ সদস্য কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে রাজি হননি। ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চলমান নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে।
জাবি’র উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ইউজিসির আয়োজনে হতে যাওয়া কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মেই পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৮০ হাজার টাকা বেতনে এনজিও সংস্থায় চাকরি

সম্প্রতি এনজিও সংস্থা নারীপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের চলমান প্রজেক্টে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম : প্রকল্প পরিচালক।
পদের সংখ্যা : নির্ধারিত না।
আবেদন যোগ্যতা : সমাজবিজ্ঞান, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, জনস্বাস্থ্য, চিকিৎসাবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, অর্থনীতি বা অন্য কোন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা এমবিবিএস পাস।
পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৭-১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইংরেজি ও বাংলায় ভাষায় পারদর্শিতা থাকতে হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজের এবং ভ্রমনের মানসিকতা থাকতে হবে।
চূড়ান্ত নিয়োগের পর ঢাকায় কাজের আগ্রহ থাকতে হবে।

বেতন ও সুযোগ সুবিধা : ৭০০০০-৮০০০০ টাকা। সঙ্গে অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে।আবেদনের শেষ তারিখ : ১০ জুন, ২০২৩
আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে।
আর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৬৭৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

সনদ জালিয়াতি করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়া ৬৭৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি আইনে মামলা হচ্ছে। জাল সনদে চাকরি নেয়ার শাস্তি হিসেবে ফেরত দিতে হবে চাকরিকালীন উত্তোলন করা বেতন ও ভাতার পুরো অর্থই। পাবেন না অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধাও।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে বের হয়ে আসে জাল সনদ ব্যবহার করে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের ৬৭৮ জন শিক্ষকের চাকরি নেয়ার বিষয়টি।
যাদের অধিকাংশই নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ফলে সুপারিশ করা হয়, এসব শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণের। নির্দেশ দেয়া হয় গৃহীত বেতন-ভাতা ফেরত দেয়ারও। চাকরির মেয়াদের শেষ পর্যায়ে থাকলেও অবৈধ সনদ ব্যবহারকারী শিক্ষকরা পাবেন না কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধার অর্থও।
সনদের জাল জালিয়াতির বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। তাই অবৈধ নিয়োগ পাওয়া ৬৭৮ জন শিক্ষককে আইনে বিচারের মুখামুখি করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, অভিযুক্তরা যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, সেগুলো তো ফেরত দিতেই হবে, সেইসঙ্গে প্রতারণা করার জন্য তাদেরকে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে হবে।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, তালিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট ও চাকরির পর যেখান থেকে সুযোগ সুবিধা পায়, সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি। কাজেই সেখান থেকে সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
জাল সনদে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের নৈতিক স্খলনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির ভিন্ন উদ্দেশ্য এবং এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার দুর্বলতাকে দায়ী করছেন শিক্ষাবিদরা।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাল সনদ জমা দিয়ে যে শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছেন, তাদের হয়ত বেতন-ভাতা কেটে নেয়া হবে বা তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে। সেটা ঠিকই আছে। তাদের অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এই অপরাধের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
খুলনায় জবি শিক্ষকের উপর হামলার প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে হাজতে প্রেরণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.নজরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামি মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ মাহমুদসহ উত্তরচক মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাসুদুর রহমান, তিন নাম্বার আসামি মাওলানা মুজিবর রহমান ও অন্য আসামি মোঃ রাসেল মিয়া খুলনার কয়রার আদালতে আত্মসমর্পন করতে গেলে তাদের সকলকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন আদালত।
বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন কয়রা চৌকি আদালতের অ্যাডভোকেট এস এম আবদুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম দোহা জানান, নিম্ন আদালতে আজকে ১লা জুন (বৃহস্পতিবার) তাদের হাজিরার তারিখ ছিল সেখান থেকে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আরো অন্যান্য আসামি যারা আছে তাদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগ আসামি অজ্ঞাতনামা কিন্তু তারপরও তাদের ধরার জন্য কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় মহারাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ মাহমুদ তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নিয়োগ বোর্ডকে ক্রমশ চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধিরা চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পরীক্ষার কার্যক্রম শেষে গাড়ি যোগে নিজ কর্মস্থলে ফিরছিলেন। এমতাবস্থায় তাদের বহন করা নিয়োগ বোর্ডের গাড়িটি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন গাড়িটি আটকে দেয়।
এ সময় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানের কথামতো নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে একটি কক্ষে অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে আটক করে মাদ্রাসার প্রধান করণিক আসামি কামরুল তার কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়। উক্ত ঘটনায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে কয়রা থানায় মামলা করেন জবি শিক্ষক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ড. ইউনুসের মামলা নিয়ে অশুভ তৎপরতার নিন্দা ঢাবি শিক্ষক সমিতির

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলাকে কেন্দ্র করে মহল বিশেষের অশুভ তৎপরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অশুভ তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (৩১ মে) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সই করা এক বিবৃতিতে নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. মুহম্মদ ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমের মাধ্যমে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জনের করেছেন। কিন্তু আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। সুতরাং ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা অবশ্যই বিচারিক প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। এটিই সভ্য সমাজের রীতি। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে দুদক তদন্ত করে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ড. মুহম্মদ ইউনুসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তিনি দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং-এর সাথে জড়িত না হলে নিশ্চয়ই আইনী প্রক্রিয়ায় সেটি প্রমাণিত হবে। তথাকথিত কিছু কিছু সংগঠন বিবৃতির মাধ্যমে যে প্রতিবাদ করেছে তা আইনের শাসনের পরিপন্থী ও দুরভিসন্ধিমূলক বলে আমরা মনে করি। কেননা, তারা যে রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী সেই রাজনৈতিক দলটি হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আইনের শাসন আর গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্যদিয়ে জন্ম নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত অর্জনকে পদদলিত করে এদেশকে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। এদের নেতার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং বিচারের মাধ্যমে প্রমাণিত।
এতে আরও বলা হয়, এই ষড়ষন্ত্রের শিকড় যে আরো গভীরে প্রোথিত তা স্পষ্ট হয়েছে বিবৃতিদাতাদের প্রদত্ত তথ্যে। ১৯৭৮ সালে একজন অবৈধ সামরিক স্বৈরশাসকের প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারই প্রমাণ করে ড. মুহম্মদ ইউনুসের সাথে তাদের সম্পর্ক অনেক পুরনো। মূলতঃ বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার-প্রচারণা ও বিরাজনীতিকরণের ধারা প্রতিষ্ঠার অনুঘটকদের সাথে ড. ইউনুসের রয়েছে দীর্ঘদিনের সখ্যতা। এ কারণেই প্রফেসর ইউনুসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কথা তুলে এনে বস্তুতঃ অর্থে তারা ঘোলাজলে মাছ শিকারের অপতৎপরতার বিষয়টিই স্বীকার করে নিলেন। বিএনপি-জামাতের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের কারণে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি এবং ধোঁয়াশাচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে অকার্যকর করে ভূঁইফোড় রাজনৈতিক দল গঠন করে এসব ব্যক্তিদের ক্ষমতার মসনদে বসানোর অশুভ তৎপরতা কারা চালিয়েছিল তা জাতি ভুলে যায়নি।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি এসব চক্র আবারও অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা এসকল চক্রান্তকারীদের ব্যাপারে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্দোষ কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একই সাথে ব্যক্তির পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১১ জুনের মধ্যে হতে পারে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

আগামী ১১ জুনের (রোববার) মধ্যে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ হতে পারে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এর আগে গত ১৯ মে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে তিন সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
এর আগে ৪৪তম বিসিএসের প্রিলির ফল ২৫ দিনে প্রকাশ করা হয়েছিল। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত সময়ে প্রিলির ফল প্রকাশের রেকর্ড। তবে ৪৫তম বিসিএসে এ রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে চায় পিএসসি। সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ করতে চায় পিএসসি।
পিএসসির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, চলতি সপ্তাহে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) শিট মূল্যায়নের কাজ শেষ হবে। আগামী ৯ জুনের মধ্যে ফল প্রকাশের কথা। তবে, আমরা ১১ জুন পর্যন্ত সময় ধার্য করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে ১১ জুনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, এর আগের বিসিএসের প্রিলির ফল সর্বোচ্চ ২৮ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। এবারও এ দিনের মধ্যে প্রকাশ হবে বলে আশা করছি। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কবে ফল প্রকাশ করা হবে সেটি এ মুহূর্তে বলা সম্ভব না।
এর আগে গত ১৯ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৪৫তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।
৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।