উন্নত দেশ গড়তে ২০ বছরের রূপরেখা অনুমোদন

উন্নত দেশ গড়তে ২০ বছরের রূপরেখা অনুমোদন
২০৩১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পৌঁছানোর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) দ্বিতীয় প্রেক্ষিত (২০২১-২০৪১) পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আজ এনইসি সভায় যে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেটি ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে ২০৩১ সালে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৯ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে ৯ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাবে।

প্রেসব্রিফিংয়ে মন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় চরম দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় ও মাঝারি দারিদ্র্যের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।

এম এ মান্নান আরও বলেন, উন্নত দেশে পৌঁছাতে আমাদেরকে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য নিরসন ও ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ বছরে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর থেকে ২০৩১ সালে বেড়ে হবে ৭৫ বছর।

প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখা গেলে এবং পরিকল্পনামাফিক যথার্থভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ২০২০ সালের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০৩১ সালে দাঁড়াবে ৯ শতাংশে। সেটি আবার বাড়তে বাড়তে ২০৪১ সালে গিয়ে হবে ৯.৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে চরম দারিদ্র্যের হার ২০২০ সালে ৯.৩৮ শতাংশ থেকে কমে ২০৩১ সালে পৌঁছাবে ২.৫৫ শতাংশে। সেটি পরিকল্পনার শেষ বছর ২০৪১ সালে কমে দাঁড়াবে ০.৬৮ শতাংশে। অন্যদিকে মাঝারি দারিদ্র্য বর্তমান বছরের ১৮.৮২ শতাংশ থেকে কমে ২০৩১ সালে দাঁড়াবে ৭ দশমিক শুণ্য শতাংশে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শেষে ২০৪১ সালে এ হার হবে ৩ শতাংশের নিচে। খবর বাসস।

পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বৈষম্য হ্রাস, ধারাবাহিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র নিরসন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি বহুমুখীকরণ, বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা, লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি