বীমা কোম্পানিগুলোর ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ

বীমা কোম্পানিগুলোর ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ
লাইফ ও নন-লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোকে আগামী এক মাসের মধ্যে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণ ও পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ আইন পরিপালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করেছে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) আইডিআরএ’র পরিচালক (উপসচিব) জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বীমা আইন, ২০১০ এর ২১ (৩) ধারা পরিপালনপূর্বক আগামী এক মাসের মধ্যে তফসিল-১ অনুযায়ী ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইডিআরএ’কে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

বীমা আইন, ২০১০ এর ২১ (৩) ধারায় বলা হয়, লাইফ ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। যার ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক প্রদত্ত হবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

অন্যদিকে, নন-লাইফ ইন্সরেন্সের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। যার ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক প্রদত্ত হবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৯টি ইন্সুরেন্সের মধ্যে নন-লাইফ ইন্সুরেন্স ৩৭টি এবং লাইফ ইন্সুরেন্স ১২টি। এর মধ্যে নন-লাইফ ইন্সুরেন্সের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে ৪টির। কোম্পানিগুলো হলো-অগ্রণী ইন্সুরেন্স, ইসলামিক ইন্সুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, প্রভাতী ইন্সুরেন্স। কোম্পানিগুলো মধ্যে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ ২৬ হাজার টাকা, অগ্রণী ইন্সুরেন্সের ৩০ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ইসলামিক ইন্সুরেন্সের ৩৭ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, লাইফ ইন্সুরেন্সগুলোর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে ২টির। কোম্পানি ২টির মধ্যে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্সের রয়েছে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ২৯ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

এদিকে, তালিকাভুক্ত ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৫টি ইন্সুরেন্সের উদ্যোক্তা শেয়ার রয়েছে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি। কোম্পানিগুলো হলো-এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, ঢাকা ইন্সুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স ও পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স।

অপরদিকে, উদ্যোক্তা শেয়ার ৬০ শতাংশের নিচে রয়েছে ৪৪ ইন্সুরেন্সের। এর মধ্যে উদ্যোক্তা শেয়ার সবচেয়ে কম রয়েছে অগ্রণী ইন্সুরেন্স, বিজিআইসি, কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ, গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্স, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স, নিটল ইন্সুরেন্স, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, পদ্মা লাইফ, পিপলস ইন্সুরেন্স, প্রভাতী ইন্সুরেন্স, পপুলার লাইফ, রিপাবলিক ইন্সুরেন্স, রূপালী লাইফ ও সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্সের। কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্ত শেয়ার রয়েছে ৩৫ শতাংশেরও কম।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল লাইফ ইন্সুরেন্স ও নন-লাইফ ইন্সুরেন্সের মূলধন সংক্রান্ত জাতীয় সংসদে একটি আইন পাশ হয়। উক্ত আইনে লাইফ ইন্সুরেন্সের জন্য অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা এবং নন-লাইফ ইন্সুরেন্সের জন্য অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে আইনে বলা হয়েছে, সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর মূলধন সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ব্র্যাক ব্যাংক ও মেটলাইফের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি
৩৪ ব্যাংক ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ ব্যবসায় অযোগ্য
কমেছে জীবন বিমার বিনিয়োগ, বেড়েছে সাধারণ বিমার
বিআইএ’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ফের সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারপারসন শেখ কবির
মেটলাইফের বিমা সুবিধা পাবেন ক্যাল বাংলাদেশের কর্মীরা
বেস্ট সিইও'র স্বীকৃতি পেলেন ন্যাশনাল লাইফের কাজিম উদ্দিন
বিমা খাতের বড় সমস্যা কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাব
দুর্বল বিমা কোম্পানিকে মূলধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে
যাত্রা শুরু করলো শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স