এভারকেয়ার হসপিটালের বিস্ময়কর সাফল্য

এভারকেয়ার হসপিটালের বিস্ময়কর সাফল্য
করোনায় জর্জরিত এক বছরে আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রয়েছে কিছু আনন্দের খবর। সম্প্রতি এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় ঘটেছে একটি বিস্ময়কর ঘটনা। বাংলাদেশের রেকর্ড অনুযায়ী প্রিম্যাচিউরভাবে জন্ম নেওয়া সর্বকনিষ্ঠ শিশুকে ৩ মাস ইনটেনসিভ এবং নিউন্যাটাল কেয়ারে রাখার পর অবশেষে সুস্থভাবে বাড়িতে পাঠিয়েছে এভারকেয়ারের নিউন্যাটাল ইউনিটের ডাক্তাররা। এই ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ইকবাল, সিনিয়র কনসালটেন্ট, পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড নিউন্যাটোলজি এবং নিউন্যাটাল ইনটেনসিভিস্ট, কোঅর্ডিনেটর, নিউন্যাটোলজি বিভাগ, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা।

মাত্র ৭৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া এই নবজাতকের নিউন্যাটাল পিরিয়ডটি ছিল অনেক কঠিন । বাচ্চাটির মায়ের প্রিম্যাচিউর লেবার, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তক্ষরণের ফলে এই ডেলিভারিটি করেন হসপিটালের অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অ্যান্ড কোঅর্ডিনেটর ডাঃ মনোয়ারা বেগম। এর আগে, মাত্র ৫৯০ গ্রাম ওজন নিয়ে এক নবজাতকও এই হাসপাতালে জন্ম নিয়েছিল এবং সে সুস্থতার সাথে বেঁচে যায়, যা রেকর্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠদের মধ্যে ছিল অন্যতম।

ডাঃ ইকবাল-এর ভাষ্যমতে, ১৫-২০ বছর আগেও যা সম্ভব ছিল না, আজকের দিনে তা অ্যাডভান্সড নিউন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, অভিজ্ঞ নিউন্যাটোলজিস্ট টিম, কার্ডিয়াক মনিটরিং, আধুনিক প্রযুক্তি, যথাযথ সাপোর্ট ও অ্যাডভান্সড মেডিকেল সুবিধাসমূহের কারণে সম্ভব। সমস্ত সাপোর্টিং ডিপার্টমেন্ট ও স্টাফদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় আমাদের নিউন্যাটাল টিম; এটি এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার টিমওয়ার্ক ও পেশাদারিত্বের একটি অনন্য অর্জন।”

এছাড়াও ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার হ্রাস করে, সময়ের চেয়ে ৪ বছর আগেই গ্লোবাল টার্গেট পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশে মারা যাওয়া নবজাতকের সংখ্যা এখনও প্রতি বছরে ৬২,০০০-এরও বেশি, যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ হারগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফলে অর্ধেক মৃত্যুই ঘটে জন্মের প্রথম দিনে এবং বাকি অর্ধেক ঘটে জন্মের প্রথম মাসের মধ্যে (সূত্র: ইউনিসেফ)। তবে এখনও জন্মহার উদ্বেগজনকভাবে বেশি, যা সংখ্যায় প্রতিদিন প্রায় ২৩০।

অন্যদিকে অনেক কেসই কখনো রেকর্ডভুক্ত হয় না এবং প্রাণহানির পেছনে থাকা অনেক কারণই অজানা থেকে যায়। সেরা ডাক্তার, সাপোর্ট স্টাফ, প্রযুক্তি ও অন্যান্য সুবিধাসমূহের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা সবসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য ফলাফল নিশ্চিত করতে সহায়তা করে এবং তাই হাসপাতালে প্রায়ই এরকম বিস্ময়কর সাফল্যের ঘটনা ঘটছে।

এইরকম অনিশ্চিত সময়ে এটি একটি স্বস্তির বিষয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান এভাবেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিদিন নতুন নতুন জীবন বাঁচিয়ে চলেছে। এটি এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের আরেকটি যুগান্তকারী অর্জন এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ও কল্যাণে তাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির প্রতীক। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল(JCI) স্বীকৃত হাসপাতাল। JCI -এর অ্যাপ্রুভালের গোল্ড সিলটি বিশ্বব্যাপী গৃহীত একটি স্বীকৃতি, যা একটি সংস্থার যথাযথ গুণমানের ও রোগীর সুরক্ষার প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা এভারকেয়ার গ্রুপ- এর একটি অংশ, যা ২৯ টি হসপিটাল, ১৬ টি ক্লিনিক, ৭০-এর বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে রয়েছে বিশ্বব্যাপী ৫টি দেশে। এই বছরেই এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম নামে একটি সম্পূর্ণ নতুন হাসপাতাল চালু হওয়ার কথা রয়েছে, যার লক্ষ্য চট্টগ্রামবাসীদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়