আবারও গুজবে ইউনাইটেড এয়ার বিক্রেতা শূন্য!

আবারও গুজবে ইউনাইটেড এয়ার বিক্রেতা শূন্য!
গুজবের কারনে ডিএসইতে লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যই বিক্রেতা শূন্য দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ার লিমিটেডের শেয়ার।একাধিক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে ইউনাইটেড এয়ার অপারেশনে ফিরার গুজব ছড়াচ্ছে এক বা একাধিক মহল।যদিও এই ধরনের তথ্যের কোন সত্যতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি সুত্র বলছে, কোম্পানীটির মালিক পক্ষ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে শেয়ার বিক্রি করছে।অথচ ঋণের কারনে দীর্ঘ দিন উনাইটেড এয়ার বন্ধ রয়েছে।

একই তালিকাভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি একবারও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। ২০১৫ সালের পর কোনো বোনাস লভ্যাংশও দেওয়া হয়নি।দীর্ঘদিন ধরে বিমান সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পড়ে থেকে এর এয়ারক্রাফটগুলো নষ্ট হবার পথে। ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশ-বিদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড এয়ারের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাবে।

এদিকে এর আগে insider trading এর মাধ্যমে একচেঞ্জ কমিশন রুল ভঙ্গ করায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্ত্রীকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গত ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) এই জরিমানা করেছিল। এর আগেও দেওলিয়া হবার পথে থাকা ইউনাইটেড এয়ার লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠেছিল। এর ফলে গত বছর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক চিঠিতে ডিএসইকে ইউনাইটেড এয়ারসহ ৪টি কোম্পানি পরিদর্শন ও তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু এর পর পরিদর্শন ও তদন্তের রিপোর্ট আর আলোর মুখ দেখেনি ।

এবিষয়ে ডিএসই’র পরিচালক রকিবুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন,ইউনাইটেড এয়ারের বিষয়ে ডিএসইর ম্যানেজম্যান্ট ভালোভাবে বলতে পারবে। তবে  গুজবে কান দিয়ে যারা কোন শেয়ারে বিনিয়োগ করে তারা  প্রকৃত বিনিয়োগকারী নয়।যার কারনে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৮ টি। আজ লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিটেই বিক্রেতার অভাবে হল্টেড হয়। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ২০ লাখ ২৯ হাজার ৫৭২ টি।

এদিকে ট্রাভেল অ্যান্ড লেইজার খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড ২০১০ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তালিকাভুক্তির পরের বছরই কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ফের ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হলেও প্রথম দিকে কৃত্রিম মুনাফা দেখিয়ে ও নানা কারসাজি করে শেয়ারের মূল্য বাড়িয়েছে। আর এই সুযোগে আইন বহির্ভূতভাবে গোপনে দফায় দফায় শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে এর উদ্যোক্তারা। বর্তমানে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ারের পরিমাণ মাত্র ৪.১৬ শতাংশ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত