বৃহস্পতিবার দুপুরে 'নব দিগন্তের পথে' নামে একটি জঙ্গি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার র্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করা নয় জঙ্গি 'ডি-রেডিক্যালাইজেশন' অ্যান্ড 'রিহ্যাবিলিটেশন' এর মাধ্যমে সন্ত্রাস ও চরমপন্থার জীবন পরিত্যাগ করে শান্তি ও আলোর পথে তথা সমাজের মূলধারায় নিজেদের সমর্পণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনো জঙ্গিবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন জিরো টলারেন্সের কথা। এটা আমরা কখনো বলি না জঙ্গিবাদকে মূলোৎপাটন করেছি। বলেছি জঙ্গিবাদকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনেক দেশেই গিয়েছি। জিজ্ঞাসিত হয়েছি যে, তোমরা কীভাবে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করছো? বলেছি, বাংলাদেশের জনগণ কখনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না বলেই আমরা জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। একের পর এক যখন জঙ্গিরা উত্থাপন ঘটাচ্ছিল তখন আমরা সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের মানুষকে, কৃষক, শ্রমিক-শিক্ষকসহ দলমত ধর্ম নির্বিশেষ মেহনতি জনতাকে ডাক দিয়েছিলেন ঘুরে দাঁড়াবার জন্য। সবাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে, মানববন্ধন হয়েছে, সমাবেশ হয়েছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। স্কুলের ছাত্রটিও ঝুলিয়েছিল জঙ্গিবাদকে সমর্থন করি না। সেই থেকে জনগণ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মাওরানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন, যা দেশে-বিদেশে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। সর্বধর্মের গুরুদের নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি।’