পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
আলোচিত বছরে কোম্পানিটি কনসলিডেটেড শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৭৬ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে কোম্পানিটির কনসলিডেটেড শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৭ টাকা ১৮ পয়সা।
কোম্পানিটির ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম আগামী ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মার্চ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন বাতিল, নেপথ্যে বিতর্কিত সাইফুর

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চেয়েছিল ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড। তবে প্রতিষ্ঠানটির আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে নেপথ্যে ছিলেন বিতর্কিত কাজী সাইফুর। বিভিন্ন অপরাধের দায়ে এই সাইফুরকে ২০১৪ সালে একাধিকবার জরিমানা করেছিল বিএসইসি। একইসঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্য শেয়ারবাজারে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল বিতর্কিত এই ব্যক্তিকে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনেকদিন ধরে ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন পেন্ডিং ছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক হিসাবে অতিমূল্যায়িত করে সম্পদ দেখিয়েছে। বিক্রির বিপরীতে প্রমাণাদিও দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট চলমান রয়েছে। এসব বিবেচনায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
ইসলাম অক্সিজেনকে শেয়ারবাজারে আনতে নেপথ্যে কাজ করা কাজী সাইফুর এর আগের বেশকিছু দুর্বল কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন। বিশেষ করে তালিকাভুক্ত করতে কোম্পানিগুলোর ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদন তৈরীতে সহযোগিতা করতেন বিতর্কিত এই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, ইসলাম অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৯৩ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রোড শোও করেছিল কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং রেজিষ্ট্রার টু দ্যা ইস্যুয়ারের দায়িত্বে ছিল সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তবে পরোক্ষভাবে মূলত ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছে বিতর্কিত শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট। যে প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে কয়েকটি কোম্পানিকে ভূয়া আর্থিক হিসাব দিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করেছে। আর শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের মালিকানায়ও রয়েছেন শেয়ারবাজারের বিতর্কিত ব্যক্তি কাজী সাইফুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ দেবে এমারেল্ড অয়েল

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড সমাপ্ত হিসাববছরের (৩০ জুন, ২০২২) বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে এই লভ্যাংশ শুধুমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির কর পরবর্তীতে আয় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৬ টাকা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এ হিসেবে সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ৫৮ পয়সা।
এদিকে. ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ জুলাই বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ জুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূলধন বাড়াবে ব্র্যাক ব্যাংক

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড তাদের অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়াবে। এর ফলে ব্যাংকটির অনুমোদিত পুঁজি গিয়ে দাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকায়।
ব্যাংকটির সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে (০১) জুলাই বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির পূর্ব ঘোষিত এজিএমে ২০২২ সালের জন্য পর্ষদ ঘোষিত ১৫ শতাংশ (৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার) ও অনুমোদিত মূলধন অনুমোদন করা হয়।
এর আগের পরিচালনা পর্ষদ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে ১১২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৬ টাকা দেবে। পাশাপাশি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ারও দেওয়া হবে।

তার আগের বছরে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ (সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ আর সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দিয়েছিল। গত ২০২০ সালেও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ, আর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল।
জানা গেছে, ২০২২ সালে সামষ্টিকভাবে ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৬১২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৪৬৫ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবে ২০২২ সালে ৫৭৬ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০২১ সালের ৫৫৫ কোটি টাকার তুলনায় ৩.৯০ শতাংশ বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৬০ কোটি টাকার লেনদেন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে বৃহস্পতিবার মোট ৮০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ (১ জুন) ব্লকে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের। কোম্পানিটি ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
রূপালী লাইফ ১০ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৫ কোটি ৮৫ লাখ, বিএটিবিসি ১ কোটি ৫৪ লাখ, বেক্সিমকো ১ কোটি ১৮ লাখ, বিএসআরএম লিমিটেড ২ কোটি ২৩ লাখ, ডেসকো ১ কোটি ৪২ লাখ, পাওয়ার গ্রীড ২ কোটি ও স্কয়ার ফার্মা ২ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানি কোম্পানিতে আগ্রহ কমেছে বিনিয়োগকারীদের

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন লোকসানি পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সর্বোচ্চ। ফলে কোম্পানিগুলোর সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১ জুন) ডিএসইতে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটিই ছিল লোকসানি। এসব কোম্পানির মধ্যে বেশ কয়েকটির উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর হারিয়েছে জুট স্পিনার্স লিমিটেড। গত কয়েকদিন ধরে শেয়ারদর উড়তে থাকা কোম্পানিটির আজ দরপতন হয়েছে। বৃহস্পতিবার একদিনেই কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
দরপতনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইমাম বাটন লিমিটেডের শেয়ারদর আজ ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমেছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। আরেক কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যারেরও আজ দরপতন হয়েছে। কোম্পানিটি আজ ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছে।
সূত্র জানায়, সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া চার কোম্পানি সর্বশেষ হিসাববছরে লোকসান দিয়েছে। এর মধ্যে কোন কোন কোম্পানি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উৎপাদনেও নেই।

বৃহস্পতিবার দরপতনের শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, জিল বাংলা সুগার মিলস, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা, মাইডাস ফাইন্যান্স এবং ইস্টার্ন হাউজিং।