কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে

কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘গত ছয় মাসে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কালো টাকা সাদা হয়েছে, অফিসিয়ালি এ টাকাগুলো আসাতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।’

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর থেকে বৈঠকে অংশ নেন তিনি।

ছয় মাসে কালো টাকা সাদা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি, করোনার মধ্যে এটা কীভাবে হলো জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাদা করতে চাই বলে সাদা হলো। আমাদের বাজেটে আছে। বাজেট বক্তৃতায় আছে আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো এড্রেস করতে চাই। প্রথমেই আমাদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনা চালু করেছি। আরও একটা ক্ষেত্র রয়েছে যেটা প্রতিটা দেশের জন্য বড় এলাকা। সেটা হলো আবাসন খাত। এই আবাসন খাতে স্ট্যাম্প ফি ও ডিউটি বাড়তি থাকার কারণে কোনো রেজিস্ট্রেশন হয় না। ফলে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না।’

‘বাড়ি বিক্রি হচ্ছে অথচ দেখানো হচ্ছে না। বিক্রি যেখানে ১০ টাকা সেটা দেখাচ্ছে এক টাকা। ১০ টাকার ওপরে গেলে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয় সেজন্য স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে দিয়েছি। এরকম যেসব জায়গায় হাত দেয়া দরকার সেখানে করেছি। সেগুলো করার কারণেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে। যেমন আমাদের পুঁজিবাজার, এটা সব দেশেই করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া আমাদের রেমিট্যান্স গত এক বছরে বা ছয় মাসে অর্জন হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পুরো বছরে আমাদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি আসবে। এই টাকাগুলো পুঁজিবাজারে যাবে। অফিসিয়ালি এ টাকাগুলো আসাতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই টাকাগুলোর মাল্টিট্যারিফাই অনেক বেশি। এতে একজনের একটা ট্রানজেকশন ১০ হাত ঘোরে। এতে অর্থনীতি অনেক বেগবান হচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। পুরোপুরি না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সফল হয়েছি। আমরা চাই কালো টাকা সাদা হোক। টাকা কালো হওয়ার কারণ নিয়ে অনেকবার ব্যাখ্যা দিয়েছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘টাকা আমাদের পলিসিগত কারণে কালো হয়। অনেকেই ট্যাক্স দেয় আবার অনেকেই দেয় না। আবার ট্যাক্স রেট অনেক বেশি ছিল। আস্তে আস্তে যদি এগুলো কমিয়ে আনতে না পারলে হবে না। আমাদের সুদের হার অনেক বেশি ছিল। এত বেশি সুদ হারে কোনো দেশে শিল্পায়ন হয় না। পাশাপাশি কোনোদিন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। আমরা সেখানেও সফল মোটামুটি আমরা যেটি করে দিয়েছি সেটা সবাই গ্রহণ করেছে। এখন যে ৬ শতাংশে ঋণ পাচ্ছে যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশে টাকা রাখলে উল্টো টাকা দিতে হবে। সেখানে লাভ পায় না, যদিও পায় সেটা এক থেকে দেড় শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে ৬ শতাংশ পাচ্ছে। এটা হলো আমাদের ইতিবাচক দিক।’

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ