ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা

ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী বছরের শেষ সপ্তাহে (২৭-৩০ ডিসেম্বর) উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সাথে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে। সপ্তাহটিতে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ২২ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩০ কোটি ৫ লাখ ২২ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ২২ হাজার ৪৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৭৯ কোটি ৭১ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ টাকা বা ৩.২০ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৬২৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮১ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ কোটি ৮৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৭ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৯৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩২৬ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭১ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮৩.৭০ পয়েন্ট বা ৩.৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪০২.০৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৮.৪৪ পয়েন্ট বা ৩.১৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮৭.২৩ পয়েন্ট বা ৪.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৪২.১১ পয়েন্টে এবং ১৯৬৩.৯৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৯টির বা ৬২.৭৩ শতাংশের, কমেছে ৭৮টির বা ২১.৩৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির বা ১৫.৮৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২২৯ কোটি ৪৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৩২ কোটি ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২ কোটি ৯৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৫ টাকা বা ১.২৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০৩.৬২ পয়েন্ট বা ৪.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৯২.৯২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৩৬৭ পয়েন্ট বা ৪.০৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩৬৮.০৫ পয়েন্ট বা ৩.০৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৫১.২০ পয়েন্ট বা ৪.৬২ শতাংশ এবং সিএসআই ২৮.৬৪ পয়েন্ট বা ২.৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৪০৩.৫৪ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৪২৬.৫২ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৬০.৩৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৮.৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৪টির বা ৬০.০৬ শতাংশের দর বেড়েছে, ৬৯টির বা ২১.৩৬ শতাংশের কমেছে এবং ৬০টির বা ১৮.৫৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত