রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নেওয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার কিছু পরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী পতাকায় মোড়ানো গাড়িবহর। দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে তার জানাজা।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথচলায় আপসহীন এ নেত্রীর জানাজায় উপস্থিত থাকছেন ঢাকায় নিযুক্ত বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার। এরইমধ্যে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা জানাজাস্থলের উদ্দেশে বারিধারা ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
তারা হলেন— নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জোরিস ফ্রান্সিস্কাস জেরার্ডাস ভ্যান বোমেল, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মোত্তালিব এস. এম. সোলাইমান, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল, রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত একাতেরিনা সেমেনোভা, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কাইঙ্গল, সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার মিচেল লি, প্যালেস্টাইনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জিয়াদ এম. হামাদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, দক্ষিণ কোরিয়া ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জিনহি ব্যাক, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা ক্যাথরিন কুক, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মো, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেংগলি, ইতালির রাষ্ট্রদূত আলেসান্দ্রো আন্তোনিও, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনচি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস, স্পেনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লারা দে লা পেনা ফের্নান্দেজ, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হোকন আরাল্ড গুলব্রানসেন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফের্নান্দো দিয়াস ফেরেস, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলওয়াহাব সাইদানি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদিউপ, কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি এম. এস. আল-কাহতানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার, বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মনি পাণ্ডে, মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আমির ফারিদ আবু হাসান এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সিমোন লসন পারচম।
গত মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বেগম খালেদা জিয়ার। গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া, সঙ্গে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরনো সমস্যা। হাসপাতালে ভর্তির পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) নেওয়া হয় তাকে।
১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্ম নেয়া এই নেত্রী ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল অধ্যায়ের নাম।