ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রেলপথে আবারও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে আবারো ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও রেলওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ভোরে গফরগাঁওয়ে রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে আবারো আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ লোকজন। সকালে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্মচারীদের বিষয়টি নজরে আসে। ট্রেনের নিরাপত্তায় সকাল সোয়া ৯টার দিকে ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন থেকেই এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে রাত ১টা ২০ মিনিটে রেললাইন পুরোপুরি সচল হলে ৯ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ-ঢাকা রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শনিবার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসনে মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর প্রার্থিতা নিশ্চিত হওয়ার খবর এলাকায় পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মনোনয়ন প্রত্যাশী ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান ও তার ভাতিজা দলের সদস্য মুশফিকুর রহমানের অনুসারীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেন। বিকেলে পৌর শহরের প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়কে টায়ার জ্বালানো হয়। বিকেল ৪টার দিকে শতাধিক নেতাকর্মী গফরগাঁও রেলস্টেশনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ঢুকে তাকে বের করে দিয়ে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর রেললাইনের ওপর টায়ার ও গাছের টুকরা এনে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফাতেমানগর এলাকায়, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার আউলিয়ানগরে, জামালপুর কমিউটার মশাখালীতে, যমুনা কাওরাইদে, মহুয়া ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে, অগ্নিবীণা ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে ও জামালপুর এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে আটকে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নে এ জেলার ১১টি আসনের মধ্যে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়। এরপর থেকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী এবং প্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। তবে ১ মাস ২৪ দিন পর শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এই আসনের চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়।
এমকে