বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল প্লার্টফর্মে রিসার্চ পলিসি ইনট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট(র্যাপিড) এবং ফ্রাইডরিচ এবার্ট স্টুফ্টুং এর সহযোগিতায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম(ইআরএফ) আয়োজিত “ভূ-অর্থনীতি ও বাংলাদেশ শীর্ষক ওয়েবিনারে (সেমিনারে)” প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন বাণিজ্য কুটনৈতিক চলছে। আমাদেরও এ সুবিধা নিতে হবে। কুটনীতিকদের দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে ভুমিকা রাখতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশও কাজটি শুরু করেছে। কুটনীতিকদের এ বিষয়ে ভূমিকার রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশ দ্রুত রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এশিয়া এখন বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোক্তা বিবেচনায় এশিয়াকে গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে। এশিয়ার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ এখন মানসম্পন্ন পণ্য কিনতে চায়। ফলে এশিয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হতে পারে। এশিয়ার বাজার ধরে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। রপ্তানি কারকগণও এখন এশিয়ার বাজারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এশিয়াই হবে বড় বাজার।
এছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশ সরকারের সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিশ্বের মন্দা অর্থনীতির মাঝেও আমরা ভালভাবেই টিকে আছি। বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আশা করা যায় কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাবে।
ইআরএফ এর প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভির সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বিষয়ের উপর আলোচনায় অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এম হুমায়ুন কবীর, এমসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট ব্যারিষ্টার নিহাদ কবীর, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। সেমিনারে বিষয়ের উপর কী-নোট উপস্থাপন করেন র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক, এফইএসএমএস এর আবাসিক প্রতিনিধি টিনা ব্লোহোম। অনুষ্ঠানটির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ইআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।