আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লালসবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলে তার জন্য প্রস্তুত গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তিনি।
এরপরই তাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছি।
মির্জা ফখরুল এরপর আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জয়ী হবো।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে আনন্দের জোয়ার বইছে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে তাদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সবাই মিলে এক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে।
উদাত্ত কণ্ঠে জনতার উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা মার্টিন লুথার কিং-এর নাম শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমি আপনাদের সকলের সামনে দাড়িয়ে আমি বলতে চাই- আই হ্যাভ এ প্লান। ফর দি পিপল অব মাই কান্ট্রি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি আমরা বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য আপনারা পাশে থাকবেন। সেটা হলেই কেবল আমরা সেই ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।
২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকেই বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট লেখেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’
এমকে