প্রবীণ সাংবাদিক ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার এক বিবৃতিতে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, একটি টেলিভিশন টকশোতে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে নূরুল কবীরের দেওয়া মন্তব্যে দলটি আহত হয়েছে এবং তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির নাম ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক মহল পত্রিকা অফিসে সহিংসতা চালাচ্ছে—এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও অন্যায্য। জামায়াতে ইসলামী কখনোই সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় ও ভবিষ্যতেও জড়াবে না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ করতে চায়—নূরুল কবিরের এমন মন্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিহীন। জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানই সর্বপ্রথম আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ইসলামপ্রিয় মানুষকে ‘ইসলাম রক্ষার’ নামে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এবং এ ধরনের বক্তব্য সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জামায়াতের প্রার্থীরা দলকে ভোট দিলে ‘বেহেশতে যাওয়া না যাওয়ার’ সঙ্গে তা সম্পৃক্ত করেছেন—এ অভিযোগও সত্য নয় এবং দলের পক্ষ থেকে কখনো এমন বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মোনাফেকি করে আসছে এবং এটি নাকি দলের বিকাশের অংশ—এ ধরনের মন্তব্য একজন প্রবীণ সাংবাদিকের জন্য শোভনীয় নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতির শেষাংশে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, নূরুল কবিরের মতো একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক ও সম্পাদকের কাছ থেকে জামায়াতে ইসলামী গঠনমূলক ও ইতিবাচক সমালোচনা প্রত্যাশা করে।
এমকে